বিভিন্ন সময়ে অসাবধানতার কারণে আমাদের থেকে ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে যায় এবং এই কারণে পরবর্তীতে আমরা বিভিন্ন ধরনের বিড়ম্বনার শিকার হয়। যেহেতু ভোটার আইডি কার্ড জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ এবং প্রত্যেকটি কাজের ক্ষেত্রে অথবা অফিসিয়াল কাজে আমাদের জাতীয় পরিচয়পত্রের অরিজিনাল কপি প্রদর্শন করার পাশাপাশি অনুলিপি প্রদান করা লেখা সেহেতু এটা যদি আপনারা কোন ভাবে হারিয়ে ফেলেন এবং পরবর্তীতে এটার কোন প্রমাণ পত্র অথবা কোনো তথ্য মনে না থাকে তাহলে হয়তো আপনারা অনেক ঝামেলায় পড়ে যাবেন।
সেই ক্ষেত্রে আপনাদেরকে বলবো যে ভোটার আইডি কার্ড ব্যবহারের ক্ষেত্রে অবশ্যই আপনাদের সচেতনতা অবলম্বন করতে হবে এবং বাড়িতে অবশ্যই ভোটার আইডি কার্ডের অরিজিনাল কপি রাখার পাশাপাশি বেশ কয়েকটি অনুলিপি তৈরি করে রাখবেন। এতে আপনাদের প্রয়োজনে বিভিন্ন সময়ে কাজে ব্যবহার করা লাগবে এবং সেই ক্ষেত্রে আপনার এটির সুবিধা ভোগ করতে পারবেন।
আমরা জানি ভোটার আইডি কার্ড একজন মানুষের জাতীয় পরিচয় পত্র এবং বাংলাদেশ সরকার জাতীয় পরিচয় পত্র প্রদান করার মাধ্যমে একজন ব্যক্তিকে নাগরিকত্ব প্রদান করার পাশাপাশি সকল দিক থেকে সুবিধা প্রদান করে এবং এই মাধ্যম দিয়ে একজন ব্যক্তিকে সনাক্ত করা খুবই সহজ হয়।
তবে কোন কারণে আপনার যদি ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে যায় তাহলে আপনারা হয়তো বর্তমান সময়ে অনলাইনে সহায়তা গ্রহণ করে এটি ডাউনলোড করতে চাইবেন এবং এক্ষেত্রে আপনাদের অনেকের নিয়ম না জানা থাকার কারণে আজকে আমাদের ওয়েবসাইটে নিয়ম জানতে এসে খুব ভালো করেছেন। কারণ আমরা আপনাদেরকে আজকে হারানো ভোটার আইডি কার্ড কিভাবে ডাউনলোড করতে হয় এবং এটি ডাউনলোড করার নিয়ম ও উপায় কি সে সম্পর্কে আপনাদের সঠিক দিকনির্দেশনা প্রদান করার চেষ্টা করব।
তবে প্রথমে আমরা আলোচনা করবো যদি আপনার ভোটার আইডি কার্ড হারিয়ে যাওয়ার পর বাড়ীতে খুঁজে দেখেন যদি এর অনুলিপি থেকে থাকে তাহলে কি করতে হবে। যদি ভোটার আইডি কার্ডের বিস্তারিত তথ্য আপনাদের জানা থাকে অথবা ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার এবং জন্মতারিখ সহ অন্যান্য তথ্য জানা থাকে তাহলে আপনাদেরকে https://services.nidw.gov.bd/nid-pub/voter-info এই অফিশিয়াল ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে।
সেখানে প্রবেশ করে আপনারা আপনার নিজস্ব একটি প্রোফাইল খুলবেন এবং যার ভোটার আইডি কার্ডের অনলাইন কপি ডাউনলোড করবেন তার যাবতীয় তথ্য প্রদান করার মাধ্যমে যখন একটি প্রোফাইল খুলবেন তখন সেখান থেকে অনলাইন কপি ডাউনলোড করার সুযোগ পাবেন।
তবে প্রোফাইল করার ক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার ব্যবহার করতে হবে এবং এই জাতীয় পরিচয় পত্রের নাম্বার যদি আপনাদের সংগ্রহে থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনারা অনলাইন কপি ডাউনলোড করার পাশাপাশি ওয়েবসাইটের নীতিমালা অনুসারে রি-ইস্যু করার মাধ্যমে আপনারা আবেদন করতে পারবেন এবং এর মাধ্যমে চালানোর ব্যবস্থা গ্রহণ করে টাকা পেমেন্ট করবেন এবং আপনাদের স্থানীয় সরকার স্টেশনে যোগাযোগ করে সেখান থেকে আপনারা জাতীয় পরিচয় পত্রের আবার কপি সংগ্রহ করতে পারবেন।
তবে কোনভাবে যদি কোনো তথ্যই আপনাদের সাথে না থাকে তাহলে আপনারা হয়তো একটু ঝামেলায় পড়বেন এবং এক্ষেত্রে বলব যে কোন ঝামেলা না ডিল করে আপনারা সঠিক পদ্ধতি অনুসরণ করুন। আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার সংগ্রহ করতে হবে এবং ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার সংগ্রহ করার ক্ষেত্রে আপনার পরিবারের কোনো সদস্যের ভোটার আইডি কার্ড অথবা আপনাদের সমবয়সীই কোনো সদস্যের ভোটার আইডি কার্ড সংগ্রহ করুন।
এক্ষেত্রে আপনাদের এলাকায় কবে নির্বাচন হচ্ছে এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখুন এবং নির্বাচন হলে স্থানীয় যেসকল লোকজন আপনাদেরকে একটি নির্দিষ্ট তালিকা থেকে তথ্য প্রদান করে সেই তালিকা থেকে আপনার তথ্য সংগ্রহ করুন এবং সেই তথ্য থেকে আপনারা বুঝতে পারবেন আপনার জাতীয় পরিচয়পত্রের নাম্বার কি এবং জন্ম তারিখ কত রয়েছে।
এসকল তথ্য যখন আপনারা পেয়ে যাবেন এবং দীর্ঘ দিন অপেক্ষা করার পর যখন আপনারা এ সকল তথ্য সংগ্রহ করতে পারবেন তখন আপনাদের ওয়েবসাইটে প্রবেশ করতে হবে এবং সেখানে গিয়ে আপনাদের ভোটার আইডি কার্ড যাচাই করার জন্য জাতীয় পরিচয় পত্রের সেখানকার নাম্বার সংগ্রহ করতে পারবেন।
তবে এক্ষেত্রে আগেই বলে রাখা ভালো যে আপনারা এই মাধ্যম ব্যবহার করে স্মার্ট ভোটার আইডি কার্ডের যাবতীয় কাজ করতে পারবেন অথবা পুরাতন ভোটার আইডি কার্ডের যাবতীয় কাজ করতে পারবেন। এভাবে পরিবারের সদস্যদের ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার এবং সেখান থেকে সংগ্রহ করা আপনার ভোটার আইডি কার্ডের নাম্বার এবং জন্মতারিখ প্রদান করার ভিত্তিতে যখন সার্চ অপশনে ক্লিক করবেন তখন দেখবেন যে সেখানে আপনার সকল তথ্য পেয়ে যাচ্ছেন এবং সেই তথ্যের ভিত্তিতে আপনারা অনলাইন কপি ডাউনলোড করার সুযোগ পাচ্ছেন।
যখন সেখানে আপনারা নিজেদের নির্দিষ্ট প্রোফাইল খুলতে পারবেন তখন ইস্যু করার জন্য আবেদন করতে পারবেন এবং সার্ভার স্টেশন থেকে আপনারা এটি সংগ্রহ করতে পারবেন।