ভগবান শ্রী কৃষ্ণের লীলা বলতে তাঁর পদক্ষেপকেই বুঝি। তাঁর লীলা বা পদক্ষেপ গুলি এতোটাই শুদ্ধ ও পবিত্র ও যুক্তি যুক্ত যে তাঁকে ভাগবান না ভেবে থাকা সম্ভব নয়। নররূপী নারায়ণ তিনি, তিনি ভক্তের বন্ধু ও সখা কৃষ্ণ।
আশা করি, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী, শ্রী কৃষ্ণের প্রেমের বাণী, রাধা কৃষ্ণের বাণী, কলিযুগ সম্পর্কে শ্রীকৃষ্ণের বাণী, রাধা কৃষ্ণের প্রেমের বাণী, ভগবান শ্রীকৃষ্ণের উপদেশ বাণী গুলি আপনার অবশ্যই ভালো লাগবে।
ভগবান শ্রীকৃষ্ণের বাণী (Radha Krishna Quotes in Bengali, Love Quotes, Caption)
1. “সর্বদা সন্দেহ করে যাওয়া মানুষের প্রসন্নতা পাওয়া, না এই জীবনে সম্ভব আর না অন্য জীবনে” – Shri Krishna
2. উৎসাহ এর চেয়ে বড় বল আর কিছুই নেই,উৎসাহী ব্যাক্তি জগত ও জয় করতে পারে। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
3. “ফলের আশা ছেড়ে কর্ম করে যাওয়া পুরুষই, নিজের জীবনকে সফল বানায়” – Shri Krishna
4. আমিই সমস্ত বেদের জ্ঞাতব্য এবং আমিই বেদান্তকর্তা ও বেদবিৎ। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
5. “কর্ম আমাকে বাঁধেনা, কারণ আমার কর্মের ফলের প্রতি কোনো আসক্তি নেই” – Shri Krishna
6. মনুষ্যদের মধ্যে আমি সম্রাট। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
7. “যেকোনো ব্যক্তি যা চায় জীবনে সেটাই হতে পারে, যদি সে বিশ্বাসের সাথে সেই বিষয়ের উপর চিন্তা করে” – Shri Krishna
8. আমিই সমস্ত যজ্ঞের ভোক্তা ও প্রভু। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
9. “আজ যা কিছু তোমার আছে, সেটা আগে অন্য কারোর ছিলো আর ভবিষ্যতেও কোনো কারোরই হয়ে যাবে | পরিবর্তনই সংসারের নিয়ম” – Shri Krishna
10. আমি সকলের গতি। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
11. “জীবন না ভবিষ্যতে আছে আর নাই বা আছে অতীতে, জীবন তো কেবল এই মূহুর্তে আছে; অর্থাৎ এই মূহুর্তের অনুভব করাকেই জীবন বলে” – Shri Krishna
12. এই জগৎ আমারই প্রকৃতির অধীন। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
13. “আমার কাছে কেউই ঘৃণিত নয় আর নাই বা কেউ প্রিয়, কিন্তু যে ভক্তির সাথে আমার পূজো করে সে সর্বদা আমার সাথেই থাকে আর আমি তার সাথে” – Shri Krishna
14. শেকড়হীন বিশাল বৃক্ষ ও যেমন সত্তরই নির্জীব হয়ে পড়ে ঠিক তেমনি নিরীহের ক্ষতিকারী শত শক্তিশালী হলেও সমূলে পতিত হয়। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
15. “যে সব ইচ্ছাকে ত্যাগ করে দেয় এবং ‘আমি’ ও ‘আমার’ এই লালসাপূর্ণ ভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে যায় | সেই একমাত্র প্রকৃত শান্তিলাভ করে” – Shri krishna
16. মাতৃঋণ কোন সন্তানই কখনো শোধ করতে পারেনা। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
17. “নরকের তিনটে দরজা হয়- কামনা, ক্রোধ এবং লোভ” – Shri krishna
18. “শুধুমাত্র মনই মানুষের মিত্র কিংবা শত্রু হয়ে থাকে” – Shri krishna
19. মিথ্যাবাদী ব্যাক্তি সর্পের চেয়েও ভয়ঙ্কর। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
20. “অনেকে মনে করে থাকেন যে সংসারে কাজর্কম ত্যাগ করাই হল সন্ন্যাস। কাজ মাত্রকইে তারা বন্ধন বা দুঃখরে কারণ মনে করনে, তাই সকল রকম কাজই পরিত্যাজ্য মনে করনে । কিন্তু তারা ভুল করেন, কর্ম ত্যাগ করা নয়, র্কমফলের লোভকে ত্যাগ করাই হল আসল ত্যাগ বা সন্ন্যাস” – Shri krishna
21. ব্যাবহার ও চরিত্রেই বংশের পরিচয় হয়। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
22. “হে অর্জুন! তোমার এবং আমার অনেকবার জন্ম হয়েছে কিন্তু আমি সেই সত্যকে জানি এবং তুমি তা জানোনা” – Shri Krishna
23. অব্যক্ত রুপে আমি সমস্ত জগতে ব্যাপ্ত আছি। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
24. “সম্মানিত ব্যক্তির কাছে অপমান, মৃত্যুর থেকেও বড় হয়” – Shri Krishna
25. সর্বশ্রেষ্ঠ পরমেশ্বর ভগবানকে অনন্যা ভক্তির মাধ্যমেই কেবল লাভ করা যায়। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
26. “ইন্দ্রিয়ের দুনিয়ায় কল্পনাই হচ্ছে সকল সুখের শুরু এবং অন্তও, যা দুঃখের জন্ম দেয়” – Shri Krishna
27. পরমেশ্বর ভগবান রুপে আমি অতীত,বর্তমান ও ভবিষ্যৎ সম্বন্ধে সম্পূর্ণরুপে অবগত। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
28. “আমি আত্মা, যে সকল প্রানীদের হৃদয়ের সাথে জুড়ে আছে | আমি সেই সাথে সকল প্রাণীর শুরু, মধ্যম এবং সমাপ্তিও” – Shri Krishna
29. আমার থেকে শ্রেষ্ঠ আর কেউ নেই। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
30. “প্রত্যেক কাজকে ধৈর্য্য এবং করুণার সাথে করো” – Shri Krishna
31. আমি সর্বলোকের মহেশ্বর (মহা+ঈশ্বর)। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
32. “যখন কোনো ব্যক্তি তার লক্ষ্যকে প্রাপ্ত করে ফেলে, তখন তার জীবনের সব দুঃখ ঘুঁচে যায় এবং জীবনে নতুন আনন্দ ও খুশি ভরে ওঠে” – Shri Krishna
33. যে ব্যক্তি কৃষ্ণভাবনায় যুক্ত নয়,তার মন সংযত নয়। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
34. “একটা উপহার দেওয়াকে তখনই আসল এবং পবিত্র বলে গণ্য করা হয় যখন সেটা আন্তরিকতার সাথে সঠিক মানুষকে, সঠিক সময়ে আর সঠিক জায়গায় দেওয়া হয়ে থাকে এবং উপহার দেওয়া ব্যক্তির মধ্যে কোনো ধরনের পাওয়ার আশা থাকেনা” – Shri Krishna
35. গোদান করে দড়ির উপর মায়া রেখে কি লাভ?যখন মোহ ত্যাগ করবে,তখন নিঃস্বার্থভাবে ত্যাগ করবে। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
36. “হে অর্জুন সমতাই যোগ | সুখ-দুঃখ, লাভ-ক্ষতি, মান-অপমান এই প্রত্যেকটির মধ্যেই সমতা আছে” – Shri Krishna
37. দেশে দেশে বন্ধু,আত্মীয়স্বজন বা স্ত্রী
মেলে কিন্তু পৃথিবীতে এমন কোন দেশ নেই
যেখানে ভ্রাতা লক্ষন এর মত সহোদর মেলা
সম্ভব। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
38. তপস্যাই পরম শ্রেয়,বাকী সকলই মায়া। – Sri Krishna
39. “মন-বাণী ও কর্মের দ্বারা কাউকে দুঃখ দিওনা” – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
40. যদিও লঙ্কা ধন সম্পদে পরিপূর্ণ তথাপি
হে লক্ষন, এখানে আমার শান্তি লাভ
হচ্ছেনা, সব সময় মনে রাখবে, জননী ও জন্মভুমি স্বর্গ অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
41. “যার কাছে সুখ, দুঃখ, মান ও অপমান সবই সমান, সেই একমাত্র সিদ্ধপুরুষ” – Shri Krishna
42. অতি গর্জনকারী মেঘ খুব কদাচিৎই
বর্ষে, প্রকৃত বীর অকারনে বাক্যব্যায়
করেনা। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
43. “কর্ম করে যাও কিন্তু ফলের চিন্তা করোনা” – Shri Krishna
44. দুঃখ বা দুর্দশায় একজন প্রকৃত বন্ধুর মত
পরম সঙ্গী আর কেউ নেই অনুকম্পা,দয়া,
ক্ষমাও মানবতার মত বড় গুন আর নেই। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
45. “উৎপন্ন হওয়া বস্তুর বিনাশ হওয়াই স্বাভাবিক, যে বস্তুর কোনো উৎপত্তি নেই তার কোনো বিনাশ নেই | আত্মা অবিনাশী এবং অমর হয় কিন্তু এই শরীরের বিনাশ অবসম্ভাবী” – Shri Krishna
46. চন্দ্র তাঁর সৌন্দর্য হারাতে পারে,হিমবন
বরফশুন্য হয়ে পড়তে পারে,সমুদ্র বিরান হয়ে
যেতে পারে কিন্তু রাম কখনো তার
প্রতিজ্ঞা হতে বিচ্যুত হয়না। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
47. “যে মানুষ ভাবে নিদ্রা, ভয়, চিন্তা, দুঃখ, অহংকার এরকমের আদি দোষ সর্বদা থাকবেই, সেই মানুষ প্রকৃত পক্ষে একজন কাপুরুষ” – Shri Krishna
48. শোকের চেয়ে বড় নাশকর্তা আর কিছু
নেই, শোক মানুষের সব শক্তিকেই নষ্ট করে
দেয়,তাই শোক করোনা। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
49. “সাধারণ মানুষ এই শরীরকে ব্যাপক হিসাবে ভাবে, সাধক পরমাত্মাকে ব্যাপক হিসাবে ভাবে | যেমন শরীর এবং সংসার এক, সেইরকমই স্বয়ং এবং পরমাত্মা একই” – Shri Krishna
50. দুর্বলই কেবল ভাগ্যের দোষারোপ করে আর
বীর ভাগ্যকে অর্জন করে। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
51. “অহংভাবই মানুষের মধ্যে বিভিন্নতা সৃষ্টি করে | অহংভাবের অভাব থাকলে পরমাত্মার সাথে বিভিন্নতার কোনো আর কারণই থাকেনা” – Shri Krishna
52. জ্ঞানীর নিকট সত্য ই পরম ধর্ম। – ভগবান শ্রী কৃষ্ণ
53. “যেটা ঘটতে চলেছে সেটা ঘটবেই, যা ঘটবে না তা কখনোই ঘটবে না এরকম নিশ্চয়তাপূর্ণ মনোভাব যার মধ্যে আছে; তাকে দুশ্চিন্তা কখনোই কষ্ট দিতে পারেনা” – Shri Krishna
54. সমুদ্র হােক বা সংসার যে ধর্মের নৌকা প্রস্তুত করে সে ঠিক পার হয়ে যায় । – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
55. বাস্তবে না পরিচয় মানুষের দেহের সাথে যুক্ত থাকে না তাে সম্পর্কের ভিত্তি তার দেহের সাথে যুক্ত থাকে । মানুষের স্বভাব , তার আচরণ আর তার কার্যই তার পরিচয় । – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
56. “সজ্জন ব্যক্তি আরো ভালো চরিত্রের সজ্জন ব্যক্তির সাথে, নীচ ব্যক্তি আরো নীচ চরিত্রের ব্যক্তির সাথেই থাকতে চায় | স্বভাব দ্বারা জন্ম যার যেমন প্রকৃতি হয়, সে তার সেই প্রকৃতিকে কখনোই ছাড়েনা” – Shri Krishna
57. যখন সংসারে দেখার মত কিছুই থাকে না , তখন মানুষ ঈশ্বর এর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে । – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
58. “বাহ্যিক বস্তুর ত্যাগকে বাস্তবে ত্যাগ বলেনা, আন্তরিক ত্যাগই হচ্ছে প্রকৃত ত্যাগ | আমাদের কামনা, মমতা, আসক্তিই হচ্ছে বন্ধনযুক্ত কিন্তু সংসার তা নয়” – Shri Krishna
59. যদি কোন ঘটনার মানুষ ভয়প্রাপ্ত হয় তবে তার পরাজয়ই হয় । আর জে মানুষ সব হারিয়েও শান্ত আর একাগ্র থাকে সেই জয়ী । – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
60. “এই সংসার প্রতিটা মূহুর্তে পরিবর্তন হচ্ছে, আর পরিবর্তনশীল বস্তু সর্বদা অসত্যই হয়” – Shri Krishna
61. সময় কখনও মানুষের নির্দেশিত পথে চলে না, মানুষকে সময়ের নির্দেশিত পথে চলতে হয়। – Shri Krishna
62. সমুদ্র হোক বা সংসার যে ধর্মের নৌকা প্রস্তুত করে সে ঠিক পার হয়ে যায়। – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
63. বাস্তবে না পরিচয় মানুষের দেহের সাথে যুক্ত থাকে না তো সম্পর্কের ভিত্তি তার দেহের সাথে যুক্ত থাকে। মানুষের স্বভাব, তার আচরণ আর তার কার্যই তার পরিচয়। – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
64. যদি কোন ঘটনার মানুষ ভয়প্রাপ্ত হয় তবে তার পরাজয়ই হয়। আর জে মানুষ সব হারিয়েও শান্ত আর একাগ্র থাকে সেই জয়ী। – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
65. যখন সংসারে দেখার মত কিছুই থাকে না, তখন মানুষ ঈশ্বর এর দিকে দৃষ্টি নিক্ষেপ করে। – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
66. আত্মার জন্ম নেই , না কখনো মৃত্যু হয় । শরীর নষ্ট হয়ে গেলেও , আত্মা নষ্ট হয় না । – Lord Krishna
67. পরিবর্তন সংসারের নিয়ম ,যাহাকে তুমি মৃত্যু বলে ভাবছো , সেটাই তো জীবন । আমার – তোমার , ছোট , বড় ,আপন , পর সবকিছু মন থেকে মিটিয়ে দাও , তারপর দেখো সব তোমার , তুমি সবার ।- ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
68. সুখ ও দুঃখ , লাভ ও ক্ষতি এবং জিৎ ও হার এর কথা চিন্তা না করে মানুষ্য কে সত্যি অনুযায়ী কর্তব্য ও কর্ম করে যাওয়া উচিত । – Lord Krishna
69. খালি হাত এসেছো খালি হাত চলে যাবে , যা কিছু আজ তোমার সেটা অন্যদিন কারো ছিল ,পরশু সেটা আরো কারো হয়ে যাবে । আজ তুমি যে জিনিস নিজের বলে প্রসন্ন , সেটাই তোমার দুঃখের কারণ । – Lord Krishna
70. তোমার কি চলে গেছে , যে কারণে তুমি কাঁদছো ?
তোমি কি নিয়ে এসেছিলে ,যা তুমি হারিয়ে ফেলেছো ?
তুমি কি সৃষ্টি করেছিলে , যা নষ্ট হয়ে গেছে ?
তুমি আসার সময় কিছু নিয়ে আসো নি , যা নিয়েছি এখান থেকে নিয়েছো
যা দিয়েছো এখান থেকে দিয়েছো । – Lord Krishna
71. যে ব্যক্তি পরিণামের চিন্তা না করে কর্ম করে যায় , সেই ব্যক্তি একদিন জীবিনে সফল হয় । – Lord Krishna
72. নরকের তিনটি দ্বার – বাসনা , ক্রোধ , ও লোভ । – Lord Krishna
73. যে বিষয় টি তোমার হাতে নেই , সেই বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করে কোনো লাভ নেই । – Lord Krishna
74. হে অর্জুন , যবে যবে এই সংসারে ধর্মের অনিষ্ট হয় , এই সংসারে অধর্ম বৃদ্ধি পায় , তখন তখন ধর্মের রক্ষার জন্য এই পৃথিবীতে আমি আবার ঘুরে আসি । – Lord Krishna
75. হে অর্জুন , আমিই অতীত , আমিই বর্তমান , আমিই ভবিষ্যৎ , আমি সর্ব প্রাণীর মধ্যে বিরাজ করি ,যে প্রাণী আমাকে মন দিয়ে স্মরণ করে , আমি সর্বদা তাদের পাশে থাকি । – Lord Krishna
76. যে প্রাণী লোভ , মায়া , ক্রোধ , অশান্তি , ঈর্ষা , থেকে মুক্তি আমি তার মধ্যে বিরাজ করি । – Lord Krishna
77. শ্রেষ্ঠ ব্যক্তি যেভাবে আচরণ করেন , সাধারণ মানুষেরা তার অনুকরণ করে । তিনি যা প্রমাণ বলে স্বীকার করেন , সমগ্র পৃথিবী তারেই অনুসরণ করে । – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
78. জনক আদি রাজারাও কর্ম দ্বারাই সংসিদ্ধি প্রাপ্ত হয়েছিলেন । অতএব , জনসাধারণকে শিক্ষা দেওয়ার জন্য তােমার কর্ম করা উচিত । – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
79. কিন্তু যে ব্যক্তি আত্মাতেই প্রীত , আত্মাতেই তৃপ্ত এবং আত্মাতেই সন্তুষ্ট , তাঁরা কোন কর্তব্যকর্ম নেই । – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
80. অন্ন খেয়ে প্রাণীগণ জীবন ধারণ করে । বৃষ্টি হওয়ার ফলে অন্ন উৎপন্ন হয় । যজ্ঞ অনুষ্ঠান করার ফলে বৃষ্টি উৎপন্ন হয় এবং শাস্ত্রোক্ত কর্ম থেকে যজ্ঞ উৎপন্ন হয় । – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
81. ভগবদ্ভক্তেরা সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হন , কারণ তাঁরা যজ্ঞবশিষ্ট অন্নাদি গ্রহণ করেন । যারা কেবল স্বার্থপর হয়ে নিজেদের ইন্দ্রিয়ের তৃপ্তির জন্য অন্নাদি পাক করে , তারা কেবল পাপই ভােজন করে । – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
82. সৃষ্টির প্রারম্ভে সৃষ্টিকর্তা যজ্ঞাদি সহ প্ৰজাসকল সৃষ্টি করে বলেছিলেন- “ এই যজ্ঞের দ্বারা তােমরা উত্তরােত্তর সমৃদ্ধ হও । এই যজ্ঞ তােমাদের সমস্ত অভীষ্ট পূর্ণ করবে । – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
83. তুমি শাস্ত্রোক্ত কর্মের অনুষ্ঠান কর , কেন না কর্মত্যাগ থেকে কর্মের অনুষ্ঠান শ্রেয় । কর্ম না করে কেউ দেহযাত্রাও নির্বাহ করতে পারে না । – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
84. যে ব্যক্তি পঞ্চ – কর্মেন্দ্রিয় সংযত করেও মনে মনে শব্দ , রস আদি ইন্দ্রিয় বিষয়গুলি স্মরণ করে , সেই মূঢ় অবশ্যই নিজেকে বিভ্রান্ত করে এবং তাকে মিথ্যাচারী ভন্ড বলা হয়ে থাকে । – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
85. সকলেই মায়াজাত গুণসমূহের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে অসহায়ভাবে কর্ম করতে বাধ্য হয় ; তাই কর্ম না করে কেউই ক্ষণকালও থাকতে পারে না । – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
86. কেবল কর্মের অনুষ্ঠান না করার মাধ্যমে কর্মফল থেকে মুক্ত হওয়া যায় না , আবার কর্মত্যাগের মাধ্যমেও সিদ্ধি লাভ করা যায় না । – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
87. মানুষ প্রেম তাকেই দিতে পারে, যে তার প্রত্যাশা পুরন করতে পারে। – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
88. প্রেম উন্নতি দেয়,
উচিৎ অনুচিতের জ্ঞান দেয়। – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
89. প্রেম আর মোহর মাঝে পার্থক্য থাকে-
বাস্তবে যা প্রেম, তা কোন মোহ নয়। – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
90. প্রেমের জন্ম করুণা থেকে হয়
আর মোহের জন্ম অহংকার থেকে। – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
91. প্রেম মুক্ত দেয়, মোহ আবদ্ধ করে। – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
92. প্রেম ধর্ম, আর মোহ অধর্ম। – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
93. “প্রেমের শক্তি, শাস্তির শক্তির চেয়ে হাজার গুণ বেশি শক্তিশালী এবং স্থায়ী।”
94. “সত্যিকারের ভালবাসার শেষ তারিখ নেই” – ভগবান শ্রীকৃষ্ণ
95. “প্রেম মানেই বিবাহ নয় বরং সম্পূর্ণ নিষ্ঠার সাথে আত্মসমর্পণ করা”। – Lord Krishna
96. “যখন প্রেমের সাথে শ্রদ্ধার অনুভূতি যুক্ত হয়, তখন প্রেম ভক্তির সমানে পরিণত হয়।” – Lord Krishna
97. “প্রেম – যে অবহেলা ভোগ করে সে রাগ এবং প্রতিশোধের অনুভূতি থেকে মুক্ত হয়।” – Lord Krishna
98. “সর্বদা মনে রাখবেন এই পৃথিবীতে প্রেমের চেয়ে মধুর আর কিছু নেই” – Lord Krishna
99. “প্রেমের অর্থ কাউকে সন্ধান করা নয়, তবে এতে হারিয়ে যাওয়া”। – Lord Krishna
100. “ভালবাসা আত্মার সাথে হয়, দেহের সাথে নয়, যা দেহের সাথে থাকে তা কেবল আকর্ষণ, যা আত্মার সাথে থাকে তা অনন্ত প্রেম” – Lord Krishna
101. “যদি হৃদয়ে সত্যিকারের ভালবাসা থাকে তবে অপেক্ষা করার প্রতিটি মুহূর্ত আনন্দ দেয় ” – Lord Krishna
102. “ভালবাসার প্রথম পর্যায় হ’ল বিভ্রান্তি যা আপনাকে আপনার ভালবাসার নিকটে নিয়ে আসে।” – Lord Krishna
Tags:
Hinduism