একাদশী তালিকা ১৪২৯ (২০২২-২০২৩) উপবাস ও পারণের নির্ভুল সময়সূচী ও নির্ঘণ্ট [ভারত ও বাংলাদেশ]
বৈশাখ, ১৪২৯ (এপ্রিল/ মে -২০২২) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ
একাদশীর নামঃ বরুথিনী একাদশী
বাংলা বছরের প্রথম মাস বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিটি বরুথিনী নামে পরিচিত। সাধারন ভক্তবৃন্দের পাশাপাশি মহিলারাও এই ব্রত পালনে সৌভাগ্য ও শ্রীকৃষ্ণের অপার কৃপা লাভ করেন। ভক্তি ও মুক্তি প্রদানকারী এই ব্রত সর্ব পাপ হরণ করে এবং মহিলাদের গর্ভাবস্থার যন্ত্রণা বনাশ করে। ভবিষ্যোত্তরপুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে এই বরুথিনী একাদশীর ব্রতকথা ও মাহাত্ম্য বিস্তারিতভাবে বর্ণিত হয়েছে। পুরাণমতে, এই একাদশীটি নিষ্ঠাভরে ব্রত পালন করলে ইহলোক ও পরলোকে নির্মল সুখ লাভ হয়৷ এছাড়াও, এই ব্রতের প্রভাবে পাপ ক্ষয় হয় এবং সৌভাগ্য প্রাপ্তি ঘটে। এই ব্রত করার ফলে প্রাচীন রাজা মহারাজাগণ দিব্যধাম লাভ করেছেন এবং সেখানে পরমানন্দে বসবাস করছেন। বৈষ্ণব মতে, স্বয়ং দেবাদিদেব মহাদেবও এই ব্রত পালন করেছিলেন শ্রীহরির সন্তুষ্টি বিধান করার জন্য। যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে আরও বলা হচ্ছে দশ হাজার বছর তপস্যার ফল কেবলমাত্র এক বরুথিনী একাদশী ব্রত পালনে লাভ করা যায়। যে ব্যক্তি এই ব্রত ভক্তি সহকারে পালন করেন, তিনি ইহলোক ও পরলোকে সমস্ত প্রকার কাঙ্খিত ফল লাভ করেন। এছাড়াও, এই দিনে নিঃস্বার্থভাবে দান করলে করলে অপরিসীম পূর্ণ অর্জন করা যায়। এসকল দানের মধ্যে গজদান, ভূমিদান, তিলদান, স্বর্ণদান এবং অন্নদান অন্যতম। সনাতন সমাজের পণ্ডিতগণ কন্যাদানকে অন্নদানের সমতুল্য বলেও অভিমত পোষন করে থাকেন।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- বরুথিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১১ই বৈশাখ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৬ এপ্রিল,২০২২) সোমবার দিবাগত রাত্রি ৩টা ৪২ মিনিট (03:42 AM) থেকে।
- বরুথিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ১২ই বৈশাখ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৭ এপ্রিল, ২০২২) মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রি ২টা ১৯ মিনিট (02:19 AM) পর্যন্ত।
- বরুথিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১২ই বৈশাখ,১৪২৯, (ইংরেজি ২৬ এপ্রিল, ২০২২) মঙ্গলবার।
- বরুথিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৩ই বৈশাখ,১৪২৯, (ইংরেজি ২৭ এপ্রিল, ২০২২) বুধবার সকাল ৯টা ২৭ মিনিটের (09:27 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- বরুথিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১২ই বৈশাখ, ১৪২৯ (ইংরেজি ২৬শে এপ্রিল,২০২২), সোমবার দিবাগত রাত্রি ৪টা ১১ মিনিট (04:11 PM) থেকে।
- বরুথিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ১৩ই বৈশাখ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৭শে এপ্রিল, ২০২২) মঙ্গলবার দিবাগত রাত্রি ২টা ৪৭ মিনিট (02:47 PM) পর্যন্ত।
- বরুথিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৩ই বৈশাখ,১৪২৯, (ইংরেজি ২৬শে এপ্রিল, ২০২২) মঙ্গলবার।
- বরুথিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৪ই বৈশাখ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৭ এপ্রিল, ২০২২) বুধবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের (09:57 PM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ বরুথিনী একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য
একাদশীর নামঃ মোহিনী একাদশী
বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিকে বলা হয় মোহিনী একাদশী। মোহিনী শব্দের অর্থ যা মানুষকে জড় জগতের প্রতি মোহাবিষ্ট করে তোলে। জড় জগতের প্রতি এই মিথ্যা মোহ-মায়া থেকে পরিত্রান করতেই ভগবান শ্রীবিষ্ণু মানুষকে মোহিনী একাদশী ব্রত পালনের সুযোগ দিয়েছে। এই মোহিনী একাদশী ব্রতের প্রভাবে মানুষের সকল পাপ ক্ষয় হয়, দুঃখ বিনাশ হয় ও মিছে মোহজাল ছিন্ন হয়। বৈষ্ণবগণ এই সকল পাপ ক্ষয়কারী ও সকল দুঃখ বিনাশী এই একাদশী ব্রত পালন করে চিন্ময় ধামের প্রতি চিত্তকে প্রসারিত করেন। বলা হয়, ত্রিলোকে মোহিনী একাদশী ব্রত থেকে আর শ্রেষ্ঠ ব্রত নেই। যজ্ঞানুষ্ঠান আয়োজন, তীর্থস্থান দর্শন, নিঃস্বার্থভাবে দান ইত্যাদি পূণ্যকর্মের ফল এই মোহিনী একাদশী ব্রতের সমান নয়। এছাড়াও এই মোহিনী ব্রত কথা শ্রবণ করলে এবং এর মাহাত্ম্য কীর্তন করলে সহস্র পরিমান গাভীদান করার ফল লাভ হয়।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- মোহিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২৭শে বৈশাখ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১১ই মে, ২০২২) বুধবার দুপুর ৩টা ২৯ মিনিট (15:29 PM) থেকে।
- মোহিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ২৮শে বৈশাখ, ১৪২৯, ( ইংরেজি ১২ই মে, ২০২২ ) বৃহষ্পতিবার দুপুর ৩টা ১৭ মিনিট (15:17 PM) পর্যন্ত।
- মোহিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৮শে বৈশাখ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১২ই মে, ২০২২) বৃহষ্পতিবার।
- মোহিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৯শে বৈশাখ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৩ই মে, ২০২২) শুক্রবার সকাল ৯টা ২৩ মিনিটের (09:23 AM) মধ্যে ।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- মোহিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২৮শে বৈশাখ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১১ই মে, ২০২২) বুধবার দুপুর ৩টা ৫৯ মিনিট (15:59 PM) থেকে।
- মোহিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ২৯শে বৈশাখ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১২ই মে, ২০২২) বৃহষ্পতিবার দুপুর ৩টা ৪৫ মিনিট (15:45 PM) পর্যন্ত।
- মোহিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৯শে বৈশাখ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১২ই মে, ২০২২) বৃহষ্পতিবার।
- মোহিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৩০শে বৈশাখ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৩ই মে, ২০২২) শুক্রবার সকাল ৯টা ৫২ মিনিটের (09:52 AM) মধ্যে ।
আরও পড়ুনঃ মোহিনী একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য
জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯ (মে / জুন -২০২২) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ
একাদশীর নামঃ অপরা একাদশী
জৈষ্ঠ্য মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথি জগতে অপরা একাদশী নামে খ্যাত। ব্রহ্মান্ডপুরাণে অপরা একাদশী সম্পর্কে বিস্তারিতভাবে বর্ণনা করা হয়েছে। জগতের সমস্ত পাপী-তাপী এই ব্রত পালন করে উদ্ধার হতে পারেন। ব্রহ্মহত্যা, গোহত্যা,ভ্রুনহত্যা,পরনিন্দা, পরস্ত্রীগমন,মিথ্যাভাষন, যারা মিথ্যাসাক্ষ্যদান করে, ওজন বিষয়ে ছলনা করে, শাস্ত্রের মিথ্যা ব্যাখ্যা প্রদান করে, জ্যোতিষের মিথ্যা গণনা ও মিথ্যাচিকিৎসায় রত থাকে, ইত্যাদি প্রকার গুরুতর অপরাধে দুষ্ট ব্যাক্তিরা স্বাক্ষাৎ নরক যন্ত্রনা থেকে রেহাই পেতে এই ব্রত পালন করে থাকেন। শুধু নরক যন্ত্রনা থেকে মুক্তিই নয়, এর প্রভাবে স্বর্গ্ধাম লাভ করে থাকেন তাঁরা। মূলত, বহু পূণ্য প্রদানকারী, মহাপাপ বিনাশকারী ও পুত্রদানকারী ব্রতই হচ্ছে এই অপরা একাদশী ব্রত।
বলা হয়, মকর রাশিতে সূৃর্য অবস্থান কালে মাঘ মাসে প্রয়াগ স্নানে যে ফল লাভ হয়, শিবরাত্রিতে কাশীধামে উপবাস করলে যে পূণ্য হয়, গয়াধামে বিষ্ণু পাদপদ্মে পিন্ডদানে যে ফল পাওয়া যায়, সিংহরাশিতে বৃহস্পতির অবস্থানে গৌতমী নদীতে স্নান করলে যে ফল পাওয়া যায়, কুম্ভ মেলায় কেদারনাথ দর্শনে যে পূণ্য সঞ্চিত হয়, বদরিকাশ্রম যাত্রায় ও বদ্রীনারায়নকে ভক্তিভরে সেবা করলে যে মহাপূন্য লাভ হয়, সূর্যগ্রহণের সময় কুরুক্ষেত্রে স্নান করলে যে অযুত পরিমান পুণ্য মেলে, হাতি-ঘোড়া-স্বর্ণ দানে যে ফ, লাভ হয়, এবং দক্ষিণাসহ যজ্ঞ সম্পাদনে যে ফল লাভ হয়, তার সবকিছুই এই অপরা একাদশী ব্রত পালন করলে অনায়াসে লাভ করা যায়। বলা হয় এই অপরা ব্রত পাপরূপ বৃক্ষের মূলে কুঠারের আঘাত স্বরূপ, পাপরূপ কাষ্ঠের দাবাগ্নির মতো, পাপরূপ অন্ধকারের সূৃর্য সদৃশ এবং পাপহস্তির সম্মুখে সিংহসরূপ। এই ব্রত পালন না করে যে ব্যাক্তি জীবন ধারন করেন জলে বুদবুদের মতো তার জন্ম-মৃত্যুই কেবল সার হয়।অপরা একাদশীতে উপবাস করে বিষ্ণুপূজা করলে সর্বপাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে গতি হয়। এই অপরা একাদশী ব্রত কথা পাঠ ও শ্রবণ করলে সহস্র গোদানের ফল লাভ হয়।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- অপরা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১০ই জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৫শে মে, ২০২২) বুধবার দুপুর ১টা ৩৮ মিনিট (13:38 PM) থেকে।
- অপরা একাদশী শেষঃ বাংলা ১১ই জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৬শে মে, ২০২২) বৃহষ্পতিবার দুপুর ১টা ০৫ মিনিট (13:05 PM) পর্যন্ত।
- অপরা একাদশীর উপবাসঃ ১১ই জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৬শে মে, ২০২২) বৃহষ্পতিবার।
- অপরা একাদশীর পারণের সময়ঃ ১২ই জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৭শে মে, ২০২২) শুক্রবার সকাল ৯টা ২২ মিনিটের (09:22 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- অপরা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১১ই জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৫শে মে, ২০২২) বুধবার দুপুর ২টা ০৮ মিনিট (14:08 PM) থেকে।
- অপরা একাদশী শেষঃ বাংলা ১২ই জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৬শে মে, ২০২২) বৃহষ্পতিবার দুপুর ১টা ৩৪ মিনিট (13:34 PM) পর্যন্ত।
- অপরা একাদশীর উপবাসঃ ১২ই জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৬শে মে, ২০২২) বৃহষ্পতিবার।
- অপরা একাদশীর পারণের সময়ঃ ১৩ই জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৭শে মে, ২০২২) শুক্রবার সকাল ৯টা ৫২ মিনিটের (09:52 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ অপরা একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য
একাদশীর নামঃ পাণ্ডবা বা নির্জলা একাদশী
জৈষ্ঠ্য মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথি পাণ্ডবা বা নির্জলা একাদশী নামে পরিচিত। এই ব্রত ধনধান্য ও পুন্য দান করে ভক্তকে পুরষ্কৃত করে থাকে । এমনকি যমদূতগণ এই ব্রত পালনকারীকে মৃত্যুর পরও স্পর্শ করতে পারেন না। পক্ষান্তরে, বিষ্ণুলোকের বিষ্ণুদূতগণ স্বয়ং এসে ব্রত পালনকারীকে বিষ্ণুলোকে নিয়ে যান। মহাভারতের পাণ্ডুপুত্র শ্রীভীমসেন এই তিথি থেকে নির্জলা একাদশী পালন করেছিলেন বিধায় এই একাদশী পান্ডবা নির্জলা বা ভীমসেনী একাদশী নামে প্রসিদ্ধ হয়েছে। এই নির্জলা একাদশীতে পবিত্র তীর্থে স্নান, দান, জপ, কীর্তন ইত্যাদি যা কিছু মানুষ করে তা অক্ষয় হয়ে যায়। যে ব্যক্তি ভক্তিসহকারে এই একাদশী মাহাত্ম পাঠ বা শ্রবণ করেন তাঁর স্থান হয় বৈকুন্ঠধাম ।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- পাণ্ডবা/নির্জলা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২৫শে জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ১০ই জুন, ২০২২) বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত্রি ২টা ৩৯ (02:39 AM) মিনিট থেকে।
- পাণ্ডবা/নির্জলা একাদশী শেষঃ বাংলা ২৬শে জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ১১ই জুন, ২০২২) শুক্রবার দিবাগত রাত্রি ১টা ৩০ মিনিট (01:30 AM) পর্যন্ত।
- পাণ্ডবা/নির্জলা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৬শে জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ১০ই জুন, ২০২২) শুক্রবার।
- পাণ্ডবা/নির্জলা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৭শে জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ১১ই জুন, ২০২২) শনিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের (09:30 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- পাণ্ডবা/নির্জলা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২৬শে জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ১০ই জুন, ২০২২) বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত্রি ৩টা ০৮ (03:08 AM) মিনিট থেকে।
- পাণ্ডবা/নির্জলা একাদশী শেষঃ বাংলা ২৭শে জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ১১ই জুন, ২০২২) শুক্রবার দিবাগত রাত্রি ২টা ৩০ মিনিট (02:30 AM) পর্যন্ত।
- পাণ্ডবা/নির্জলা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৭শে জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ১০ই জুন, ২০২২) শুক্রবার।
- পাণ্ডবা/নির্জলা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৮শে জৈষ্ঠ্য, ১৪২৯, (ইংরেজি ১১ই জুন, ২০২২) শনিবার সকাল ৯টা ৫২ মিনিটের (09:52 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ পান্ডবা নির্জলা একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য
আষাঢ়, ১৪২৯ (জুন / জুলাই – ২০২২) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ
একাদশীর নামঃ যোগিনী একাদশী
ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে যোগিনী একাদশীর বিস্তর আলোচনা দৃশ্যমান। বাংলা আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে পালনীয় ব্রতের নামই যোগিনী একাদশী। এই একাদশী তিথি মহাপাপ নাশকারী। মোহ মায়াজালে আবিষ্ট মনুষ্যগণ যে মহাপাপে পরিপূর্ণ হয়ে আছেন, এই ব্রত তাঁদেরকে সেখান থেকে উদ্ধার করে স্বর্গ ধামের পথ প্রসস্থ করে। বলতে গেলে এই মহাপূণ্যদায়িনী একাদশী তিথি ভবসাগরের অতল গহব্বরে পতিত মানুষের উদ্ধার লাভের একমাত্র নৌকা স্বরূপ। এছাড়াও এই ব্রত পালনকারীরা শ্রীকৃষ্ণের অপার করুণাও লাভ করে থাকেন।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- যোগিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৮ই আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৪শে জুন, ২০২২) বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত্রি ১২টা ৪৭ মিনিট (00:47 AM) থেকে।
- যোগিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ৯ই আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৫শে জুন, ২০২২) শুক্রবার দিবাগত রাত্রি ১টা ১১ (01:11 AM ) মিনিট পর্যন্ত।
- যোগিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৯ই আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৪শে জুন, ২০২২) শুক্রবার।
- যোগিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১০ই আষাঢ়, ১৪২৯ (ইংরেজি ২৫শে জুন, ২০২২) শনিবার সকাল ৯টা ২৫ ( 09:25 AM) মিনিটের মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- যোগিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৯ই আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৩শে জুন, ২০২২) বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাত্রি ১২টা ৪৭ মিনিট (00:47 AM) থেকে।
- যোগিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ৯ই আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৪শে জুন, ২০২২) শুক্রবার দিবাগত রাত্রি ১টা ১১ (01:11 AM) মিনিট পর্যন্ত।
- যোগিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৯ই আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৪শে জুন, ২০২২) শুক্রবার।
- যোগিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১০ই আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৫শে জুন, ২০২২) শনিবার সকাল ৯টা ২৫ (09:25 AM) মিনিটের মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ যোগিনী একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য
একাদশীর নামঃ শয়ন বা শ্রী শ্রী হরিশয়নী একাদশী
আষাঢ় মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী তিথিতে পালিত হয় শয়ন একাদশী। এ সংসারে এই শয়ন বা শ্রী শ্রী হরিশয়নী একাদশীর মতো পবিত্র আর কোন ব্রত নেই। বলা হয় সকল পাপ বিনাশের জন্য এই বিষ্ণুব্রত পালন করা একান্ত আবশ্যক। যে ব্যাক্তি এই প্রকার পবিত্র পাপনাশক এবং সকল অভিষ্ট প্রদাতা একাদশী ব্রত না করে তাকে নরকগামী হতে হয়। শ্রী ভগবান ঋষিকেশের জন্য এই ব্রত পালন করলে তিনি ভক্তের প্রভূত কল্যান সাধন করে তাঁকে জড় জগতের মায়া থেকে মুক্তি প্রদান করে থাকেন।এই একাদশীতে ভগবান শ্রীবিষ্ণু অনন্ত শয্যায় নিজেকে শায়িত করেন।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- শয়ন/হরিশয়নী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২৪শে আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ০৯ই জুলাই, ২০২২) শনিবার দিবা ১১টা ৪৪ মিনিট (11:44 AM) থেকে।
- শয়ন/হরিশয়নী একাদশী শেষঃ বাংলা ২৫শে আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ১০ই জুলাই, ২০২২) রবিবার সকাল ৯টা ৫২ (09:52 AM) মিনিট পর্যন্ত।
- শয়ন/হরিশয়নী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৫শে আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ১০ই জুলাই, ২০২২) রবিবার।
- শয়ন/হরিশয়নী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৬শে আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ১১ই জুলাই, ২০২২) সোমবার সকাল ৭টা ৪৫ (07:45 Am) মিনিটের মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- শয়ন/হরিশয়নী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২৫শে আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ০৯ই জুলাই, ২০২২) শনিবার মধ্যাহ্ন ১২টা ১৩ মিনিট (12:13 PM) থেকে।
- শয়ন/হরিশয়নী একাদশী শেষঃ বাংলা ২৬শে আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ১০ই জুলাই, ২০২২) রবিবার সকাল ১০টা ২১ (10:21 AM) মিনিট পর্যন্ত।
- শয়ন/হরিশয়নী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৬শে আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ১০ই জুলাই, ২০২২) রবিবার।
- শয়ন/হরিশয়নী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৭শে আষাঢ়, ১৪২৯, (ইংরেজি ১১ই জুলাই, ২০২২) সোমবার সকাল ৮টা ১৪ (08:14 AM) মিনিটের মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ শয়ন একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য
শ্রাবণ, ১৪২৯ (জুলাই / আগস্ট – ২০২২) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ
একাদশীর নামঃ কামিকা একাদশী
শ্রাবণ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীতে কামিকা একাদশী পালিত হয় সমস্ত জগত জুড়ে। যে ব্এযাক্ইতি এই কামিকা একাদশীর মাহাত্ম্য শ্রবণ করেন, তিনি বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ করেন। এদিনে ভগবান শ্রী হরির পূজা অর্চনা করলে অপরিমিত পরিমান পূণ্যফল লাভ করা যায়। গঙ্গা, গোদাবরী, কাশী, নৈমিষ্যারণ্য, পুষ্কর ইত্যাদি তীর্থ দর্শনের সমস্ত ফল একমাত্র কামিকা একাদশী ব্রত পালন করে লাভ করা যায়। সাগর ও অরণ্য যুক্ত পৃথিবী দানের ফল, এবং দুগ্ধবতী গাভী দানের ফলের অনুরূপ ফল এই ব্রত পালনে লাভ হয়ে থাকে। যারা পাপপূর্ণ সাগরে নিমগ্ন, এই ব্রতই তাদের উদ্ধারের একমাত্র সহজ উপায়। এই রকম পবিত্র পাপনাশক শ্রেষ্ঠ ব্রত আর জগতে নেই। শ্রী হরি স্বয়ং এই মাহাত্ম্য কীর্তন করেছেন। রাত্রি জাগরণ করে যারা এই ব্রত পালন করেন তাঁরা কখনও দুঃখ দুর্দশাগ্রস্ত হন না। এই ব্রত পালনকারী কখনও নিম্ন যোনি প্রাপ্ত হন না। এদিন কেশবপ্রিয়া তুলসীপত্রে যিনি শ্রী হরির পূজা করেন পদ্ম পাতায় জলের মতো তিনি পাপে নির্লিপ্ত থাকেন। তুলসীপত্র দিয়ে বিষ্ণু পূজায় ভগবান যেমন সন্তুষ্ট হন, মণিমুক্তাদি মূল্যবান রত্ন মাধ্যমেও তেমন প্রীত হন না। যিনি কেশবকে তুলসীমঞ্জরী দিয়ে পূজা করেন তার জন্মার্জিত সমস্ত পাপ ক্ষয় হয়ে যায়। এ প্রসঙ্গে ব্রহ্মা বললেন–হে নারদ! যিনি তুলসীকে প্রত্যহ দর্শন করেন তার সকল পাপরাশি বিদূরিত হয়ে যায়। যিনি তাঁকে স্পর্শ করেন তার পাপমলিন দেহ পবিত্র হয়। তাঁকে প্রণাম করলে সমস্ত রোগ দূর হয়। তাঁকে জল সিঞ্চন করলে যমও তার কাছে আসতে ভয় পান। শ্রী হরি চরণে তুলসী অর্পিত হলে ভগবদ্ভক্তি লাভ হয়। তাই হে কৃষ্ণভক্তি প্রদায়িনী তোমাকে প্রণাম করি। যে ব্যক্তি হরিবাসরে ভগবানের সামনে দীপদান করেন চিত্রগুপ্তও তাঁর পুণ্যের হিসাব করতে পারে না। তার পিতৃপুরুষেরাও পরম তৃপ্তি লাভ করেন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন–হে রাজন! আমি আপনার কাছে সর্বপাপহারিনী কামিকা একাদশীর মাহাত্ম্য বর্ণনা করলাম। অতএব যিনি ব্রহ্মহত্যা ভ্রুণহত্যা পাপবিনাশিনী, মহাপুণ্যফলদায়ী এই ব্রত পালন করবেন এবং এই মাহাত্ম্য শ্রদ্ধা সহকারে শ্রবণ করবেন তিনি সর্বপাপ থেকে মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে গমন করবেন।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
কামিকা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ০৬ই শ্রাবণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৩শে জুলাই, ২০২২) শনিবার দুপুর ১টা ৩৭ মিনিট (13:37 PM) থেকে।।
কামিকা একাদশী শেষঃ বাংলা ০৭ই শ্রাবণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৪শে জুলাই, ২০২২) রবিবার দুপুর ২টা ৫৬ মিনিট (14:56 PM) পর্যন্ত।
কামিকা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ০৭ই শ্রাবণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৪শে জুলাই, ২০২২) রবিবার।
কামিকা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ০৮ই শ্রাবণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৫শে জুলাই, ২০২২) সোমবার সকাল ৯টা ৩২ মিনিটের (09:32 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
কামিকা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ০৮ই শ্রাবণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৩শে জুলাই, ২০২২) শনিবার দুপুর ২টা ০৫ মিনিট (14:05 PM) থেকে।।
কামিকা একাদশী শেষঃ বাংলা ০৯ই শ্রাবণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৪শে জুলাই, ২০২২) রবিবার দুপুর ৩টা ২৫ মিনিট (15:25 PM) পর্যন্ত।
কামিকা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ০৯ই শ্রাবণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৪শে জুলাই, ২০২২) রবিবার।
কামিকা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১০ই শ্রাবণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৫শে জুলাই, ২০২২) সোমবার সকাল ১০টা ০১ মিনিটের (10:01 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ কামিকা একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য
একাদশীর নামঃ শ্রাবণ পুত্রদা/ পবিত্রা / পবিত্রারোপণ / পবিত্রারোপণী একাদশী
শ্রাবণ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীকে বলা হয় পুত্রদা বা শ্রাবণ পুত্রদা একাদশী। এটি বছরের দুইটি পুত্রদা একাদশীর একটি। অপরটি হচ্ছে পৌষ পুত্রদা একাদশী। এই ব্রতটি পুত্রসন্তান দানকারী ব্রত। পুতঃ নামক নরক থেকে পরিত্রান পেতে পুত্রসন্তান প্রার্থনা করে থাকেন মনুষ্যকুল। আর এই ব্রত পুত্রদান করে মানুষকে সেই পুত নামক নরক থেকে পরিত্রান করে। এছাড়াও এই ব্রত মাহাত্ম্য যিনি পাঠ করেন এবং শ্রবণ করেন তিনি সকল প্রকার পাপ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্তি লাভ করেন। বলা হয়, এই ব্রত নিষ্ঠার সাথে পালনকারীরা পুত্রসুখ ভোগ করে এবং আনন্দময় পার্থিব জীবন উপভোগ করে দিব্যধাম প্রাপ্ত হবেন।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- শ্রাবণ পুত্রদা/পবিত্রা/পবিত্রারোপণ/পবিত্রারোপণী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২১শে শ্রাবণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ০৭ই আগস্ট, ২০২২) রবিবার রাত্রি ৭টা ৩৪ মিনিট (19:34 PM) থেকে।
- শ্রাবণ পুত্রদা/পবিত্রা/পবিত্রারোপণ/পবিত্রারোপণী একাদশী শেষঃ বাংলা ২২শে শ্রাবণ , ১৪২৯, (ইংরেজি ০৮ই আগস্ট, ২০২২) সোমবার রাত্রি সন্ধ্যা ৫টা ১৬ মিনিট (17: 16 PM) পর্যন্ত।
- শ্রাবণ পুত্রদা/পবিত্রা/পবিত্রারোপণ/পবিত্রারোপণী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২২শে শ্রাবণ , ১৪২৯, (ইংরেজি ০৮ই আগস্ট, ২০২২) সোমবার
- শ্রাবণ পুত্রদা/পবিত্রা/পবিত্রারোপণ/পবিত্রারোপণী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৩শে শ্রাবণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ০৯ই আগস্ট, ২০২২) মঙ্গলবার সকাল সকাল ০৯টা ৩৩ (09:33 AM) মিনিটের মধ্যে।,
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- শ্রাবণ পুত্রদা/পবিত্রা/পবিত্রারোপণ/পবিত্রারোপণী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২৩শে শ্রাবণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ০৭ই আগস্ট, ২০২২) রবিবার রাত্রি ৮টা ০৪ মিনিট (20:04 PM) থেকে।
- শ্রাবণ পুত্রদা/পবিত্রা/পবিত্রারোপণ/পবিত্রারোপণী একাদশী শেষঃ বাংলা ২৪শে শ্রাবণ , ১৪২৯, (ইংরেজি ০৮ই আগস্ট, ২০২২) সোমবার রাত্রি সন্ধ্যা ৫টা ৪৬ মিনিট (17: 46 PM) পর্যন্ত।
- শ্রাবণ পুত্রদা/পবিত্রা/পবিত্রারোপণ/পবিত্রারোপণী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২৪শে শ্রাবণ , ১৪২৯, (ইংরেজি ০৮ই আগস্ট, ২০২২) সোমবার
- শ্রাবণ পুত্রদা/পবিত্রা/পবিত্রারোপণ/পবিত্রারোপণী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৫শে শ্রাবণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ০৯ই আগস্ট, ২০২২) মঙ্গলবার সকাল সকাল ০৯টা ৩৩ (10:02 AM) মিনিটের মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ পবিত্রারোপণী ( শ্রাবণ পুত্রদা) একাদশী ব্রতের মাহাত্ম্য
ভাদ্র, ১৪২৯ (আগস্ট / সেপ্টেম্বর – ২০২২) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ
একাদশীর নামঃ অন্নদা বা অজা একাদশী
ভাদ্রের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীকে বলা হয় অজা বা অন্নদা একাদশী ব্রত। এই একাদশী তিথি সর্ব প্রকার পাপ বিনাশ করে। যিনি শ্রীহরির চরণপ্রাপ্তির উদ্দেশ্যে এই ব্রত পালন করেন, তিনি সর্বপাপ থেকে তাৎক্ষণিকভাবে মুক্ত হন। এমনকি এই ব্রতের নাম শ্রবণেই বিপুল পরিমান পাপ বিদূরিত হয়ে যায়। যথাবিধি এই ব্রত পালন করলে বহু বছরের দুঃখভোগের চুড়ান্ত অবসান হয়। যে মানুষ নিষ্ঠা সহকারে এই ব্রত পালন করেন, তিনি শ্রীহরি চরণে ভক্তি লাভ করে অবশেষে দিব্যধামে গমন করেন। এই ব্রতের মাহাত্ম্য পাঠ ও শ্রবণে অশ্বমেধ যজ্ঞের ফল লাভ হয়।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- অন্নদা বা অজা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৪ঠা ভাদ্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ২২শে আগস্ট, ২০২২) রবিবার দিবাগত রাত্রি ০৪টা ২২ মিনিট (04:22 AM) থেকে।
- অন্নদা বা অজা একাদশী শেষঃ বাংলা ৬ই ভাদ্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৩শে আগস্ট, ২০২২) মঙ্গলবার সকাল ৬টা ১৮ মিনিট পর্যন্ত (06:18 AM) পর্যন্ত।
- অন্নদা বা অজা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৬ই ভাদ্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৩শে আগস্ট, ২০২২) মঙ্গলবার।
- অন্নদা বা অজা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৭ই ভাদ্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৪শে আগস্ট, ২০২২) বুধবার সকাল ৮টা ২১ মিনিটের (08:21 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- অন্নদা বা অজা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৬ই ভাদ্র, ১৪২৯, ( ইংরেজি ২২শে আগস্ট, ২০২২) রবিবার দিবাগত রাত্রি ০৪টা ৫১ মিনিট (04:51 AM) থেকে।
- অন্নদা বা অজা একাদশী শেষঃ বাংলা ৮ই ভাদ্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৩শে আগস্ট, ২০২২) মঙ্গলবার সকাল ৬টা ৪৮ মিনিট পর্যন্ত ( 06:48 AM) পর্যন্ত।
- অন্নদা বা অজা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৮ই ভাদ্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৩শে আগস্ট, ২০২২) মঙ্গলবার।
- অন্নদা বা অজা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৯ই ভাদ্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ২৪শে আগস্ট, ২০২২) বুধবার সকাল ৮টা ৫১ মিনিটের (08:51 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ অজা বা অন্নদা একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য
একাদশীর নামঃ পদ্মা / প্বার্শ / প্বার্শপরিবর্তনী / জয়ন্তী একাদশী
ভাদ্র মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পালিত হয় পদ্মা, প্বার্শ বা প্বার্শ পরিবর্তনী একাদশী ব্রত। এই ব্রত পূণ্য ফল প্রদায়িনী, স্বর্গ ও মোক্ষদায়িনী। এর মাহাত্ম্য শ্রবণে সকল পাপ বিনষ্ট হয়।আবার এই একাদশীকে জয়ন্তী একাদশীও বলা হয়। যিনি এই তিথিতে ভক্তিভরে শ্রীবামন ভগবানের পূজা করেন, তিনি ত্রিলোকে পূজা পান। যিনি এই তিথিতে কমলনয়ন শ্রীবিষ্ণুর পূজা কমল দ্বারা করেন, তিনি নিসন্দেহে ভগবানের সমীপে গমন করেন। যে পূণ্য এই ব্রতে লাভ হয়, তা বাজপেয় যজ্ঞেও লাভ হয় না। এই একাদশীতে শায়িত ভগবান অনন্ত শয্যায় পার্শ্ব পরিবর্তন করেন। বাম অঙ্গ থেকে দক্ষিণ অঙ্গে শয়ন করেন। তাই এই একাদশীকে পরিবর্তিনী একদশীও বলা হয়।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- পদ্মা/প্বার্শ/প্বার্শপরিবর্তনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৯শে ভাদ্র,১৪২৯, (ইংরেজি ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২২) সোমবার দিবাগত রাত্রি ০৩টা ০৫ মিনিট (03:05 AM) থেকে।
- পদ্মা/প্বার্শ/প্বার্শপরিবর্তনী একাদশী শেষঃ বাংলা ২০শে ভাদ্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২২) মঙ্গলবার রাত্রি ১২টা ৩৭ মিনিট (00:37 AM) পর্যন্ত।
- পদ্মা/প্বার্শ/প্বার্শপরিবর্তনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২০শে ভাদ্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২২) মঙ্গলবার।
- পদ্মা/প্বার্শ/প্বার্শপরিবর্তনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২১শে ভাদ্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২২) বুধবার সকাল ৯টা ৩২ মিনিটের (09:32 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- পদ্মা/প্বার্শ/প্বার্শপরিবর্তনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২১শে ভাদ্র,১৪২৯, (ইংরেজি ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২২) সোমবার দিবাগত রাত্রি ০৩টা ৩৪ মিনিট (03:34 AM) থেকে।
- পদ্মা/প্বার্শ/প্বার্শপরিবর্তনী একাদশী শেষঃ বাংলা ২২শে ভাদ্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২২) মঙ্গলবার রাত্রি ১টা ০৬ মিনিট (01:06 AM) পর্যন্ত।২১
- পদ্মা/প্বার্শ/প্বার্শপরিবর্তনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২২শে ভাদ্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ৬ই সেপ্টেম্বর, ২০২২) মঙ্গলবার।
- পদ্মা/প্বার্শ/প্বার্শপরিবর্তনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২৩শে ভাদ্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ৭ই সেপ্টেম্বর, ২০২২) বুধবার সকাল ১০টা ০১ মিনিটের (10:01 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ পার্শ্ব পরিবর্তিনী একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য
আশ্বিন, ১৪২৯ (সেপ্টম্বর / অক্টোবর – ২০২২) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ
একাদশীর নামঃ ইন্দিরা একাদশী
আশ্বিন মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশীর নাম ইন্দিরা। এই একাদশী পালনে বিপুল পরিমান পাপরাশি বিনষ্ট হয় এবং নিরয়গামী পিতৃপুরুষগণের উর্দ্ধগতি লাভ হয়। এই একাদশী ব্রতের মাহাত্ম্য শ্রবণে ও কীর্তনে সর্বপাপ বিমুক্ত হয় এবং শ্রীবিষ্ণু সান্নিধ্য লাভ ঘটে। এই ইন্দিরা একাদশীর মাহাত্ম্য পাঠে ও শ্রবণে মানুষ সকল পাপ মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে প্রাপ্ত হয়।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- ইন্দিরা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ০৩রা আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২২) মঙ্গলবার রাত্রি ৮টা ৪৮ মিনিট (20:48 PM) থেকে।
- ইন্দিরা একাদশী শেষঃ বাংলা ০৪ঠা আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২২) বুধবার রাত্রি ১০টা ৪৭ (22:47 PM) মিনিট পর্যন্ত।
- ইন্দিরা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ০৪ঠা আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২২) বুধবার।
- ইন্দিরা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ০৫ই আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২২) বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টা ২৯ মিনিটের (09:29 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- ইন্দিরা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৫ই আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ২০শে সেপ্টেম্বর, ২০২২) মঙ্গলবার রাত্রি ৯টা ১৭ মিনিট (21:17 PM) থেকে।
- ইন্দিরা একাদশী শেষঃ বাংলা ৬ই আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২২) বুধবার রাত্রি ১১টা ১৫ (23:15 PM) মিনিট পর্যন্ত।
- ইন্দিরা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৬ই আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ২১শে সেপ্টেম্বর, ২০২২) বুধবার।
- ইন্দিরা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৭ই আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ২২শে সেপ্টেম্বর, ২০২২) বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটের (09:59 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ ইন্দিরা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য
একাদশীর নামঃ পাশাঙ্কুশা / পাপাঙ্কুশা একাদশী
আশ্বিনের শুক্লপক্ষীয়া একাদশী পাশাঙ্কুশা নামে প্রসিদ্ধা। কেউ কেউ একে পাপাঙ্কুশাও বলে থাকেন। এই একাদশীতে অভিষ্ট ফল লাভের জন্য মুক্তিদাতা পদ্মনাভের পূজা করা হয়ে থাকে। এদিন শ্রীহরির নাম-সংকীর্তন দ্বারা পৃথিবীর সর্ব তীর্থের ফল লাভ হয়। এছাড়াও, এদিন বদ্ধ জীব মোহবশত বহু পাপকর্ম করেও ভগবান শ্রীহরির শরণাপন্ন হয়ে প্রণাম নিবেদন করলে নরকযাতনা থেকে রক্ষা পায়। এই একাদশীর মহিমা শোনার ফলে নিদারুণ যমদণ্ড থেকে মুক্তি লাভ হয়। বলা হয়, শ্রীহরিবাসর ব্রতের মতো ত্রিভুবনে পবিত্রকারী আর কোন বস্তু নেই। হাজার হাজার অশ্বমেধ যজ্ঞ এবং শত শত রাজসূয় যজ্ঞ আয়োজনের ফল এই ব্রতের শতভাগের একভাগের সমান হয় না। এই ব্রত পালনে স্বর্গবাস, মুক্তি, দীর্ঘায়ু, আরোগ্য, সুপত্নী, বন্ধু প্রভৃতি অনায়াসে লাভ করা যায়। গয়া, কাশী এমনকি কুরুক্ষেত্রও শ্রীহরিবাসর অপেক্ষা পূণ্যস্থান নয়। এই একাদশী উপবাস ব্রত করে রাত্রি জাগরণ করলে অনায়াসে বিষ্ণুলোকে গতি হয়। এই পাশাঙ্কুশা ব্রতের ফলে মানুষ সর্বপাপ মুক্ত হয়ে চিন্ময়লোকে গমন করতে সামর্থ্য হয়। এই পবিত্র দিনে যিনি স্বর্ণ, তিল, গাভী, অন্ন, বস্ত্র, জল, ছত্র, পাদুকা দান করেন, তাকে আর যমালয়ে যেতে হয় না। যারা এসকল পুণ্যকার্য করে না, তাদের জীবন কামারশালার হাপরের মতো বিফল। নিষ্ঠার সাথে এই ব্রত পালনে উচ্চকুলে নিরোগ ও দীর্ঘায়ু শরীর লাভ হয়। অত্যন্ত পাপাচারীও যদি এই পুণ্যব্রতের অনুষ্ঠান করে তবে সেও রৌরব নামক নইরকের মহাযন্ত্রনা থেকে মুক্ত হয়ে বৈকুণ্ঠসুখ লাভ করে।কৃষ্ণভক্তি লাভই শ্রী একাদশী ব্রতের মুখ্য ফল। তবে আনুষাঙ্গিকরূপে স্বর্গ, ঐশ্বর্যাদি অনিত্য ফল লাভ হয়ে থাকে।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- পাশাঙ্কুশা/পাপাঙ্কুশা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৮ই আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ৫ই অক্টোবর, ২০২২) বুধবার বেলা ১১টা ১১ মিনিট (11:11 AM) থেকে।
- পাশাঙ্কুশা/পাপাঙ্কুশা একাদশী শেষঃ বাংলা ১৯শে আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ৬ই অক্টোবর, ২০২২) বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টা ৫৪ মিনিট (08:54 AM) পর্যন্ত।
- পাশাঙ্কুশা/পাপাঙ্কুশা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৯শে আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ৬ই অক্টোবর, ২০২২) বৃহষ্পতিবার।
- পাশাঙ্কুশা/পাপাঙ্কুশা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২০শে আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ৭ই অক্টোবর, ২০২২) শুক্রবার সকাল ৬টা ৪৯ মিনিটের (06:49 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- পাশাঙ্কুশা/পাপাঙ্কুশা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২০শে আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ৫ই অক্টোবর, ২০২২) বুধবার বেলা ১১টা ৪০ মিনিট (11:40 AM) থেকে।
- পাশাঙ্কুশা/পাপাঙ্কুশা একাদশী শেষঃ বাংলা ২১শে আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ৬ই অক্টোবর, ২০২২) বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টা ২৩ মিনিট (09:23 AM) পর্যন্ত।
- পাশাঙ্কুশা/পাপাঙ্কুশা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ২১শে আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ৬ই অক্টোবর, ২০২২) বৃহষ্পতিবার।
- পাশাঙ্কুশা/পাপাঙ্কুশা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২২শে আশ্বিন, ১৪২৯, (ইংরেজি ৭ই অক্টোবর, ২০২২) শুক্রবার সকাল ৭টা ১৮ মিনিটের (07:18 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ পাশাঙ্কুশা (পাপাঙ্কুশা) একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য
কার্ত্তিক, ১৪২৯ (অক্টোবর / নভেম্বর – ২০২২) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ
একাদশীর নামঃ রমা একাদশী
বাংলা কার্ত্তিক মাসের কৃষ্ণপক্ষের মহাপাপ দূরকারী একাদশীর নাম রমা একাদশী। একাদশী মাত্রই সর্ব পাপের ক্ষয়কারী ব্রত। অনুরূপভাবে এই রমা একাদশী পালনের মাধ্যমে আমাদের সর্ব পাপ দূর হয়ে থাকে। এছাড়াও, সকল পাপ দূরীভূত হওয়ার পর ব্রত পালনকারী অপার আনন্দ লাভ করেন এবং শ্রীহরি অনন্ত কৃপার পাত্র হন। এই ব্রতে রাত্রি জাগরণ করে শ্রীবিষ্ণুর গুণকীর্ত্তন করলে, তিনি ভগবানের বিশেষ আশির্বাদের পাত্র হয়ে থাকেন।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- রমা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২রা কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ২০শে অক্টোবর, ২০২২) বৃহষ্পতিবার দুপুর ২টা ০৩ মিনিট (14:03 PM) থেকে।
- রমা একাদশী শেষঃ বাংলা ৩রা কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ২১শে অক্টোবর, ২০২২) শুক্রবার দুপুর ৩টা ২৯ মিনিট (15:29 PM) পর্যন্ত।
- রমা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৩রা কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ২১শে অক্টোবর, ২০২২) শুক্রবার।
- রমা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৪ঠা কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ২২শে অক্টোবর, ২০২২) শনিবার সকাল ৯টা ২৮ মিনিটের (09:28 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- রমা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৪ঠা কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ২০শে অক্টোবর, ২০২২) বৃহষ্পতিবার দুপুর ২টা ৩২ মিনিট (14:32 PM) থেকে।
- রমা একাদশী শেষঃ বাংলা ৫ই কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ২১শে অক্টোবর, ২০২২) শুক্রবার দুপুর ৩টা ৫৭ মিনিট (15:57 PM) পর্যন্ত।
- রমা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৫ই কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ২১শে অক্টোবর, ২০২২) শুক্রবার।
- রমা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৬ই কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ২২শে অক্টোবর, ২০২২) শনিবার সকাল ৯টা ৫৭ মিনিটের (09:57 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ রমা একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য
একাদশীর নামঃ উত্থান / প্রবোধিনী একাদশী
কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর মাহাত্ম্য স্কন্দপুরাণে ব্রহ্মা-নারদ সংবাদে বর্ণিত আছে। এই তিথির একাদশী উত্থান বা প্রবোধিনী নামে সমগ্র জগতে খ্যাত। প্রজাপতি ব্রহ্মা পূর্বে নারদের কাছে এই একাদশীর মহিমা কীর্তন করেছিলেন। কার্তিক মাসে সমস্ত গৌণধর্ম বর্জন করে শ্রীকেশবের সামনে হরিকথা শ্রবণ কীর্তন করাই এই ব্রতের মূল কাজ। কোন ব্যক্তি যদি ভক্তিসহকারে এই মাসে ভক্তসঙ্গে হরিকথা শ্রবণ ও কীর্তন করেন, তবে তাঁর শতকুল উদ্বার প্রাপ্ত হন এবং হাজার হাজার দুগ্ধবতী গাভী দানের ফল অনায়াসে লাভ করেন। এই মাসে পবিত্রভাবে শ্রীকৃষ্ণের রূপ, গুণাদির শ্রবণ- কীর্তনে দিনযাপন করলে তার আর পুণর্জন্ম হয় না। এই মাসে বহু ফলমূল, ফুল, অগুরু, কর্পূর, ও চন্দন দিয়ে শ্রীহরির পূজা করার বিধান রয়েছে শাস্ত্রে। সমস্ত তীর্থ ভ্রমণ করলে যে পুণ্য সঞ্চয় হয়, উত্থান একাদশীতে শ্রীকৃষ্ণ পাদপদ্মে অর্ঘ্য প্রদানে তার কোটিগুণ সুকৃতি অর্জিত হয়। শ্রবণ-কীর্তন, স্মরণ, বন্দনাদি নববিধা ভক্তির সাথে তুলসীর সেবার জন্য যারা বীজ রোপন, জলসেচন ইত্যাদি করেন, তারা মুক্তিলাভ করে বৈকুণ্ঠবাসী হন। সহস্র সুগন্ধী পুষ্পে দেবতার অর্চনে বা সহস্র সহস্র যজ্ঞ ও দানে যে ফল লাভ হয়, এই মাসের শ্রীহরিবাসরে একটি মাত্র তুলসী পাতা শ্রীভগবানের চরণকমলে অর্পণ করলে তার অনন্তকোটিগুণ ফল লাভ হয়। উল্লেখ্য এই তিথিতে অনন্ত শয্যায় শায়িত শ্রীবিষ্ণু পুনরায় উত্থান করেন।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- উত্থান/প্রবোধিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৬ই কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ৩রা নভেম্বর, ২০২২) বৃহষ্পতিবার রাত্রি ৮টা ৪৫ মিনিট (20:45 PM) থেকে।
- উত্থান/প্রবোধিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ১৭ই কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ৪ঠা নভেম্বর, ২০২২) শুক্রবার সন্ধ্যা ৬টা ৫৯ মিনিট (18:59 PM) থেকে।
- উত্থান/প্রবোধিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৭ই কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ৪ঠা নভেম্বর, ২০২২) শুক্রবার।
- উত্থান/প্রবোধিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৮ই কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ৫ই নভেম্বর, ২০২২) শনিবার সকাল ৯টা ৩০ মিনিটের (09:30 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- উত্থান/প্রবোধিনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৮ই কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ৩রা নভেম্বর, ২০২২) বৃহষ্পতিবার রাত্রি ৯টা ১৪ মিনিট (21:14 PM) থেকে।
- উত্থান/প্রবোধিনী একাদশী শেষঃ বাংলা ১৯ই কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ৪ঠা নভেম্বর, ২০২২) শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা ২৮ মিনিট (19:28 PM) থেকে।
- উত্থান/প্রবোধিনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৯ই কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ৪ঠা নভেম্বর, ২০২২) শুক্রবার।
- উত্থান/প্রবোধিনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২০শে কার্ত্তিক, ১৪২৯, (ইংরেজি ৫ই নভেম্বর, ২০২২) শনিবার সকাল ৯টা৫৯ মিনিটের (09:59 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ উত্থান একাদশী (প্রবোধিনী) ব্রত মাহাত্ম্য
অগ্রহায়ণ, ১৪২৯ (নভেম্বর / ডিসেম্বর – ২০২২) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ
একাদশীর নামঃ উৎপন্না একাদশী
অগ্রহায়ণের পুণ্যপ্রদায়ী কৃষ্ণপক্ষের একাদশীকে উৎপন্না একাদশী বলা হয়। এই একাদশী পরম পবিত্র ও দেবতাদেরও প্রিয়।সমস্ত ব্রতকারী দিবারাত্রি ভক্তিপরায়ণ হয়ে এই উৎপন্না একদশীর উৎপত্তির কথা শ্রবণ-কীর্তন করলে শ্রীহরির আশীর্বাদ লাভে ধন্য হবেন। এছাড়াও, উৎপন্না একাদশী মহাপাপ বিনাশক এবং মহাপূণ্যদায়ী। শ্রীবিষ্ণুর অপার কৃপা লাভ করার জন্য শুদ্ধ বৈষ্ণব ভক্তগন সারা বছর ধরে অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করে থাকেন এই একাদশী ব্রত পালনের সুযোগ লাভভ করার জন্য।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- উৎপন্না একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২রা অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৯শে নভেম্বর, ২০২২) শনিবার সকাল ৭টা ০৩ মিনিট (07:03 AM) থেকে।
- উৎপন্না একাদশী শেষঃ বাংলা ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২০শে নভেম্বর, ২০২২) রবিবার সপকাল ৭টা ৩৩ মিনিট (07:33 AM) পর্যন্ত।
- উৎপন্না একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৩রা অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২০শে নভেম্বর, ২০২২) রবিবার।
- উৎপন্না পারনের সময়ঃ বাংলা ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২১শে নভেম্বর, ২০২২) সোমবার সকাল ৭টা ৩২ মিনিটের (07:32 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- উৎপন্না একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৪ঠা অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৯শে নভেম্বর, ২০২২) শনিবার সকাল ৭টা ৩১ মিনিট (07:31 AM) থেকে।
- উৎপন্না একাদশী শেষঃ বাংলা ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২০শে নভেম্বর, ২০২২) রবিবার সপকাল ৮টা ০১ মিনিট (08:01 AM) পর্যন্ত।
- উৎপন্না একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৫ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২০শে নভেম্বর, ২০২২) রবিবার।
- উৎপন্না পারনের সময়ঃ বাংলা ৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২১শে নভেম্বর, ২০২২) সোমবার সকাল ৮টা ০১ মিনিটের (08:01 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ উৎপন্না একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য
একাদশীর নামঃ মোক্ষদা একাদশী
অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের এই একাদশী মোক্ষদা নামে পরিচিত। সর্বপাপনাশিনী ও ব্রত সর্বশ্রেষ্ঠা এই একাদশীর দেবতা শ্রীদামোদর। এদিন তুলসী, তুলসী মঞ্জরী, ধূপ, দীপ, ইত্যাদি উপচারে শাস্ত্রবিধি অনুসারে শ্রীদামোদরের পূজা করলে তিনি অত্বেযাধিক সন্তুষ্ট হন। এছাড়াও পূর্ববর্ণিত বিধি অনুসারে এর দশমীও পালন করা কর্তব্য। এই দিনে উপবাস করে স্তবস্তুতি, নৃত্য-গীত আদি সহ রাত্রিজাগরণ করা মহা ফলদায়ক।যে ব্যাক্তি এই মঙ্গলদায়িনী মোক্ষদা একাদশী ব্রত পালন করেন, তার সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয় এবং মৃত্যুর পর মুক্তি লাভ করেন। এই ব্রতের পূণ্যসংখ্যা সকলেরই অজ্ঞাত। শ্রীহরি বলেন “চিন্তমণির মতো এই ব্রতটি আমার অত্যন্ত প্রিয়। এই ব্রত কথা যিনি পাঠ করেন এবং যিনি শ্রবণ করেন, উভয়েই বাজপেয় যজ্ঞের ফল প্রাপ্ত হন।”
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- মোক্ষদা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৬ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ৩রা ডিসেম্বর, ২০২২) শনিবার সকাল ৮টা ২৬ মিনিট (08:26 AM) থেকে।
- মোক্ষদা একাদশী শেষঃ বাংলা ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২২) রবিবার সকাল ৭টা ২৭ মিনিট (07:27 AM) থেকে।
- মোক্ষদা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৭ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২২) রবিবার।
- মোক্ষদা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ৫ই ডিসেম্বর, ২০২২) সোমবার সকাল ৬টা ৫৫ মিনিটের (06:55 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- মোক্ষদা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৮ই অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ৩রা ডিসেম্বর, ২০২২) শনিবার সকাল ৮টা ২৫৪ মিনিট (08:54 AM) থেকে।
- মোক্ষদা একাদশী শেষঃ বাংলা ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২২) রবিবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিট (07:55 AM) থেকে।
- মোক্ষদা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৯শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ৪ঠা ডিসেম্বর, ২০২২) রবিবার।
- মোক্ষদা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ২০শে অগ্রহায়ণ, ১৪২৯, (ইংরেজি ৫ই ডিসেম্বর, ২০২২) সোমবার সকাল ৭টা ২৪ মিনিটের (07:24 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ মোক্ষদা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য
পৌষ, ১৪২৯ ( ডিসেম্বর / জানুয়ারী – ২০২২ / ২০২৩ ) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ
একাদশীর নামঃ সফলা একাদশী
পৌষ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর নাম সফলা একাদশী। ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে এই তিথির মাহাত্ম্য বিস্তারিত বর্ণিত হয়েছে। সুফলের আশায় এই ব্রত পালনের ব্রতী হন আপামর বৈষ্ণববৃন্দ। সফলা একাদশী যিনি পালন করেন, তিনি জাগতিক সুখ লাভ করেন এছাড়াও দেহান্তে মুক্তি লাভ করেন। এই ব্রতে যারা শ্রদ্ধাশীল তাঁরাই ধন্য। তাঁদের জন্ম সার্থক,এতে কোন সন্দেহ নেই। এই ব্রত পাঠ ও শ্রবণে মানুষের রাজসূয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- সফলা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২রা পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২২) রবিবার রাত্রি ১০টা ৫২ মিনিট (22:52 PM) থেকে।
- সফলা একাদশী শেষঃ বাংলা ৩রা পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২২) সোমবার রাত্রি ১০টা ২০ মিনিট (22:20 PM) থেকে।
- সফলা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৩রা পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২২) সোমবার।
- সফলা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৪ঠা পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২০শে ডিসেম্বর, ২০২২) মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৪৯ মিনিটের (09:49 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- সফলা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৩রা পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৮ই ডিসেম্বর, ২০২২) রবিবার রাত্রি ১১ টা ২০ মিনিট (23:20 PM) থেকে।
- সফলা একাদশী শেষঃ বাংলা ৪ঠা পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২২) সোমবার রাত্রি ১০টা ৪৮ মিনিট (22:48 PM) থেকে।
- সফলা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৪ঠা পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৯শে ডিসেম্বর, ২০২২) সোমবার।
- সফলা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৫ই পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২০শে ডিসেম্বর, ২০২২) মঙ্গলবার সকাল ১০টা ১৮ মিনিটের (10:18 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ সফলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য
একাদশীর নামঃ পৌষ পুত্রদা একাদশী
পৌষ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিতে পালিত হয় পৌষ পুত্রদা একাদশী ব্রত। সর্বপাপবিনাশিনী এই একাদশী ব্রতের অধিষ্ঠাত্রী দেবতা হলেন স্বয়ং ভগবান শ্রীনারায়ণ। ত্রিলোকে পৌষ পুত্রদা একাদশীর মত শ্রেষ্ঠ ব্রত আর নেই। এই ব্রত পালনকারী শ্রীনারায়ণের কৃপায় বিদ্বান ও যশস্বী হয়ে ওঠেন। নিষ্ঠা ও ভক্তিসহকারে যারা এই পৌষ পুত্রদা একাদশী ব্রত পালন করেন,তারা পুত্র সন্তান লাভ করে পুত নামক নরক থেকে পরিত্রাণ লাভ করে থাকেন। এটি ছাড়াও শ্রাবণ পুত্রদা নামক আরও একটি পুত্র দানকারী ব্রত জগতে বিদ্যমান। এছাড়াও এই একাদশীর ব্রত কথা শ্রবণ করে কীর্তনে অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের ফল লাভ হয়। ব্রহ্মাণ্ড পুরাণে পৌষ পুত্রদা একাদশীর মাহাত্ম্য এভাবেই বর্ণনা করা হয়েছে।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- পৌষ পুত্রদা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৬ই পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১লা জানুয়ারী, ২০২৩) রবিবার রাত্রি ১০টা ৩০ মিনিট (22:30 PM) থেকে।
- পৌষ পুত্রদা একাদশী শেষঃ বাংলা ১৭ই পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২রা জানুয়ারী, ২০২৩) সোমবার রাত্রি ১০টা ৩২ মিনিট (22:32 PM) পর্যন্ত।
- পৌষ পুত্রদা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৭ই পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২রা জানুয়ারী, ২০২৩) সোমবার।
- পৌষ পুত্রদা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৮ই পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ৩রা জানুয়ারী, ২০২৩) মঙ্গলবার সকাল ৯টা ৫৬ মিনিটের (09:56 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- পৌষ পুত্রদা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৭ই পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১লা জানুয়ারী, ২০২৩) রবিবার রাত্রি ১০টা ৫৮ মিনিট (22:58 PM) থেকে।
- পৌষ পুত্রদা একাদশী শেষঃ বাংলা ১৮ই পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২রা জানুয়ারী, ২০২৩) সোমবার রাত্রি ১১টা ০১ মিনিট (23:01 PM) পর্যন্ত।
- পৌষ পুত্রদা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৮ই পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২রা জানুয়ারী, ২০২৩) সোমবার।
- পৌষ পুত্রদা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৯শে পৌষ, ১৪২৯, (ইংরেজি ৩রা জানুয়ারী, ২০২৩) মঙ্গলবার সকাল ১০টা ২৫ মিনিটের (10:25 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ পৌষ পুত্রদা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য
মাঘ, ১৪২৯ (জানুয়ারী / ফেব্রুয়ারী – ২০২৩) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ
একাদশীর নামঃ ষটতিলা একাদশী
মাঘ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী ষটতিলা একাদশী নামে ভবিষ্যোত্তরপুরানে বর্ণিত হয়েছে। যিনি বা যারা ষটতিলা একাদশী ব্রত নিষ্ঠা সহকারে পালন করেন তাদের অভাব, শারীরিক রোগ ব্যাধি ও কষ্ট, দুর্ভাগ্য ইত্যাদি দুর্গতি বিনষ্ট হয়। এই ব্রতের বিধি মোতাবেক তিল দান করলে দানকারী ব্যাক্তি অনায়াসে সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয় এবং পরিত্রান পায়। জগতের প্রসিদ্ধ বৈষ্ণবগণ এই ব্রত নিষ্ঠার সাথে পালন করার জন্য সমস্ত মনুষ্যকুলকে আহবান করে থাকেন।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- ষটতিলা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২রা মাঘ, ১৪২৯ (ইংরেজি ১৭ই জানুয়ারী, ২০২৩) মঙ্গলবার দুপুর ১২টা ৫৩ মিনিট (12:53 PM) থেকে।
- ষটতিলা একাদশী শেষঃ বাংলা ৩রা মাঘ, ১৪২৯ (ইংরেজি ১৮ই জানুয়ারী, ২০২৩) বুধবার সকাল ১১টা ২৭ মিনিট (11:27 AM) পর্যন্ত।
- ষটতিলা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৩রা মাঘ, ১৪২৯ (ইংরেজি ১৮ই জানুয়ারী, ২০২৩) বুধবার।
- ষটতিলা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৪ঠা মাঘ, ১৪২৯ (ইংরেজি ১৯ই জানুয়ারী, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার সকাল ৯টা ৪২ মিনিটের (09:42 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- ষটতিলা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৩রা মাঘ, ১৪২৯ (ইংরেজি ১৭ই জানুয়ারী, ২০২৩) মঙ্গলবার দুপুর ১টা ২২ মিনিট (13:22 PM) থেকে।
- ষটতিলা একাদশী শেষঃ বাংলা ৪ঠা মাঘ, ১৪২৯ (ইংরেজি ১৮ই জানুয়ারী, ২০২৩) বুধবার সকাল ১১টা ৫৬ মিনিট (11:56 AM) পর্যন্ত।
- ষটতিলা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৪ঠা মাঘ, ১৪২৯ (ইংরেজি ১৮ই জানুয়ারী, ২০২৩) বুধবার।
- ষটতিলা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৫ই মাঘ, ১৪২৯ (ইংরেজি ১৯ই জানুয়ারী, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টা ১১ মিনিটের (10:11 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ ষটতিলা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য
একাদশীর নামঃ ভৈমী বা জয়া একাদশী
মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী তিথিটি জয়া একাদশী ব্রত নামে ভবিষ্যোত্তর পুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদরূপে বর্ণিত হয়েছে। শ্রীগরুড়পুরাণে মাঘী শুক্লাপক্ষীয়া এই গুরুত্বপূর্ণ একাদশী তিথিকে ভৈমী একাদশী নামে সম্বোধিত হয়েছে। এছাড়াও বিভিন্ন পুরাণে এই একাদশী তিথিকে বিভিন্ন নামে অভিহিত করতে দেখা যায়। পদ্মপুরাণ মোতাবেক, জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নামই পান্ডবা নির্জলা বা ভীমসেনী (ভৈমী) একাদশী। এই তিথি সর্বপাপবিনাশিনী, সর্বশ্রেষ্ঠা, পবিত্রা, সর্বকাম ও মুক্তি প্রদায়িনী। এই ব্রতের ফলে মানুষ কখনও প্রেতত্ব প্রাপ্তি হয় না।এই জয়া একাদশী ব্রত ব্রহ্মহত্যাজনিত পাপকেও বিনাশ করে। এই ব্রত পালনে সমস্ত প্রকার দানের ফল লাভ হয়। সকল যজ্ঞ ও তীর্থের পুণ্যফল এই একাদশী প্রভাবে আপনা হতেই লাভ হয়। অবশেষে মহানন্দে অনন্তকাল বৈকুন্ঠ বাস হয়। এই জয়া একাদশী ব্রতকথা পাঠ ও শ্রবণে অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের ফল পাওয়া যায়।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- জয়া বা ভৈমী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৬ই মাঘ, ১৪২৯, (ইংরেজি ৩১শে জানুয়ারী, ২০২৩) মঙ্গলবার দুপুর ২টা ৪১ মিনিট (14:41 PM) থেকে।
- জয়া বা ভৈমী একাদশী শেষঃ বাংলা ১৭ই মাঘ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১লা ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) বুধবার দুপুর ৩টা ৪৭ মিনিট (15:47 PM) পর্যন্ত।
- জয়া বা ভৈমী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৭ই মাঘ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১লা ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) বুধবার।
- জয়া বা ভৈমী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৮ই মাঘ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২রা ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টা ০২ মিনিটের (10:023 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- জয়া বা ভৈমী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৭ই মাঘ, ১৪২৯, (ইংরেজি ৩১শে জানুয়ারী, ২০২৩) মঙ্গলবার দুপুর ৩টা ১০ মিনিট (15:10 PM) থেকে।
- জয়া বা ভৈমী একাদশী শেষঃ বাংলা ১৮ই মাঘ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১লা ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) বুধবার দুপুর ৪টা ১৬ মিনিট (16:16 PM) পর্যন্ত।
- জয়া বা ভৈমী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৮ই মাঘ, ১৪২৯, (ইংরেজি ১লা ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) বুধবার।
- জয়া বা ভৈমী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৯শে মাঘ, ১৪২৯, (ইংরেজি ২রা ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার সকাল ১০টা ৩১ মিনিটের (10:031 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ ‘ভৈমী’ বা ‘জয়া’ একাদশী কি? ভৈমী একাদশীর মাহাত্ম্য
ফাল্গুন, ১৪২৯ (ফেব্রুয়ারী / মার্চ – ২০২৩) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ
একাদশীর নামঃ বিজয়া একাদশী
ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের কাদশী ‘বিজয়া’ নামে পরিচিত। এই একাদশী সম্পর্কে একসময় দেবর্ষি নারদ স্বয়ম্ভু ব্রহ্মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। এই পবিত্র পাপবিনাশকারী ব্রত মানুষকে জয় দান করে বলে বিজয়া নামে প্রসিদ্ধ।যথাবিধি যে মানুষ এই ব্রত পান করবেন তাদের এজগতে জয়লাভ এবং পরজগতে অক্ষয় সুখ সুনিশ্চিত । এই কারণে এই বিজয় একাদশী ব্রত পালন অবশ্য কর্তব্য। এই ব্রতকথার শ্রবণ-কীর্তন মাত্রেই বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- বিজয়া একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২রা ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) বুধবার দিবাগত রাত্রি ১২টা ৪৫ মিনিট (00:45 AM) থেকে।
- বিজয়া একাদশী শেষঃ বাংলা ৩রা ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার রাত্রি ১০টা ৪১ মিনিট (22:41 PM) পর্যন্ত।
- বিজয়া একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৩রা ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার।
- বিজয়া একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটের (09:59 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- বিজয়া একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২রা ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) বুধবার দিবাগত রাত্রি ১টা ১৪ মিনিট (13:14 AM) থেকে।
- বিজয়া একাদশী শেষঃ বাংলা ৩রা ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার ১১টা ১০ মিনিট (23:10 PM) পর্যন্ত।
- বিজয়া একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৩রা ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৬ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার।
- বিজয়া একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৪ঠা ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৭ই ফেব্রুয়ারী, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ১০টা ২৮ মিনিটের (10:28 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ বিজয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য
একাদশীর নামঃ আমলকী /আমলকীব্রত একাদশী
ফাল্গুন মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম আমলকী। বিষ্ণুলোক প্রদানকারী রূপে এই একাদশী বিশেষভাবে মহিমান্বিত। একাদশীর দিন আমলকী বৃক্ষের তলে রাত্রি জাগরণ করলে সহস্র গাভী দানের ফল লাভ হয়।পূর্বে ব্রহ্মার রাত্রিতে দৈনন্দিন প্রলয় উপস্থিত হলে স্থাবর জঙ্গমসহ দেবতা, অসুর ও রাক্ষস সবকিছুর বিনাশ হয়। তখন ভগবান সেরই কারণসমুদ্রে অবস্থান করেন। তাঁর মুখপদ্ম থেকে চন্দ্রবর্ণের একবিন্দু জল ভূমিতে পড়ে। সেই জলবিন্দু থেকে একটি বিশাল আমলকী বৃক্ষ উৎপন্ন হয়। এই বৃক্ষের স্মরণ মাত্র গো-দানের ফল, দর্শনে তাহার দ্বিগুণ এবং এর ফলভক্ষণে তিনগুণ ফল লাভ হয়। এই বৃক্ষে ব্রহ্মা, বিষ্ণু আর মহেশ্বর সর্বদা অবস্থান করেন। এর প্রতিটি শাখা-প্রশাখা ও পাতায় ঋষি, দেবতা, ও প্রজাপতিগণ বাস করেন। এই বৃক্ষকে সমস্ত বৃক্ষের আদি বলা হয় এবং তা পরম বৈষ্ণব রূপে বিখ্যাত। অতএব এই শ্রেষ্ঠ ব্রত সকলেরই পালনীয়। যে মানুষ এই পরম–উত্তম আমলকী একাদশী ব্রত পালন করেন তিনি নিঃসন্দেহে বিষ্ণুলোক প্রাপ্ত হন।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- আমলকী/আমলকীব্রত একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৭ই ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ২রা মার্চ, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টা ১৬ মিনিট (08:16 AM) থেকে।
- আমলকী/আমলকীব্রত একাদশী শেষঃ বাংলা ১৮ই ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ৩রা মার্চ, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ১০টা ০৮ মিনিট (10:08 AM) থেকে।
- আমলকী/আমলকীব্রত একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৮ই ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ৩রা মার্চ, ২০২৩) শুক্রবার।
- আমলকী/আমলকীব্রত একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৯শে ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ৪ঠা মার্চ, ২০২৩) শনিবার সকাল ৯টা ৫৯ মিনিটের (09:59 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- আমলকী/আমলকীব্রত একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৭ই ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ২রা মার্চ, ২০২৩) বৃহষ্পতিবার সকাল ৮টা ৪৫ মিনিট (08:45 AM) থেকে।
- আমলকী/আমলকীব্রত একাদশী শেষঃ বাংলা ১৮ই ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ৩রা মার্চ, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ১০টা ৩৭ মিনিট (10:37 AM) থেকে।
- আমলকী/আমলকীব্রত একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৮ই ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ৩রা মার্চ, ২০২৩) শুক্রবার।
- আমলকী/আমলকীব্রত একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৯শে ফাল্গুন, ১৪২৯, (ইংরেজি ৪ঠা মার্চ, ২০২৩) শনিবার সকাল ১০টা ২৮ মিনিটের (10:28 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ আমলকী বা আমলকীব্রত একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য
চৈত্র, ১৪২৯ (মার্চ / এপ্রিল – ২০২৩) মাসের একাদশীর সঠিক তিথি, উপবাস ও পারনের সময়ঃ
একাদশীর নামঃ পাপমোচনী একাদশী
চৈত্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের একাদশীর নাম পাপমোচনী একাদশী। এই একাদশী সকল পাপ থেকে নিস্তার বা মোচন করে বলে এই পবিত্র একাদশী তিথি পাপমোচনী নামে প্রসিদ্ধ। যারা এই
পাপমোচনী একাদশী পালন করেন, তাদের পূর্বকৃত সমস্ত পাপই ক্ষয় হয়। এই ব্রতকথা পাঠ ও শ্রবণে সহস্র গোদানের ফল লাভ হয়।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- পাপমোচনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ২রা চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৭ই মার্চ, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ১০টা ৪৩ মিনিট (10:43 AM) থেকে।
- পাপমোচনী একাদশী শেষঃ বাংলা ৩রা চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৮ই মার্চ, ২০২৩) শনিবার সকাল ৮টা ২১ মিনিট (08:21 AM) পর্যন্ত।
- পাপমোচনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৩রা চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৮ই মার্চ, ২০২৩) শনিবার।
- পাপমোচনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৪ঠা চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৯শে মার্চ, ২০২৩) রবিবার সকাল ৫টা ৫৭ মিনিটের (05:57 AM) মধ্যে।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- পাপমোচনী একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ৩রা চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৭ই মার্চ, ২০২৩) শুক্রবার সকাল ১১টা ১২ মিনিট (11:12 AM) থেকে।
- পাপমোচনী একাদশী শেষঃ বাংলা ৪ঠা চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৮ই মার্চ, ২০২৩) শনিবার সকাল ৮টা ৪৯ মিনিট (08:49 AM) পর্যন্ত।
- পাপমোচনী একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ৪ঠা চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৮ই মার্চ, ২০২৩) শনিবার।
- পাপমোচনী একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ৫ই চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ১৯শে মার্চ, ২০২৩) রবিবার সকাল ৬টা ২৬ মিনিটের (06:26 AM) মধ্যে।
আরও পড়ুনঃ পাপমোচনী একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য
একাদশীর নামঃ কামদা একাদশী
চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম কামদা একাদশী। এই তিথি পাপনাশক ও পুণ্যদায়িনী। এই ব্রত যত্নসহকারে সকলেরই পালন করা কর্ত্তব্য। এই ব্রত ব্রহ্মহত্যা পাপবিনাশক এবং পিশাচত্ব মোচনকারী। এই ব্রত কথা
শ্রদ্ধাপুর্বক পাঠ ও শ্রবণে বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।
ভারতীয় সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- কামদা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৬ই চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ৩১শে মার্চ, ২০২৩) শুক্রবার দিবাগত রাত্রি ২টা ১৩ মিনিট (02:13 AM) থেকে।
- কামদা একাদশী শেষঃ বাংলা ১৭ই চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ১লা এপ্রিল, ২০২৩) শনিবার শেষরাত্রি ৪টা ১৯ মিনিট (04:19 AM) পর্যন্ত।
- কামদা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৭ই চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ১লা এপ্রিল, ২০২৩) শনিবার।
- কামদা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৮ই চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ২রা এপ্রিল, ২০২৩) রবিবার সকাল ১০টা ৪৭ মিনিটের (10:47 AM) পর।
বাংলাদেশের সময় অনুযায়ী একাদশী শুরু, একাদশী শেষ, একাদশীর উপবাসের দিন, একাদশীর পারণের দিন ও একাদশীর পারণের সময়সূচীঃ
- কামদা একাদশী আরম্ভঃ বাংলা ১৭ই চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ১লা এপ্রিল, ২০২৩) শুক্রবার দিবাগত রাত্রি ২টা .৪২ মিনিট (02:42 AM) থেকে।
- কামদা একাদশী শেষঃ বাংলা ১৮ই চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ২রা এপ্রিল, ২০২৩) শনিবার শেষরাত্রি ৪টা ৪৭ মিনিট (04:47 AM) পর্যন্ত।
- কামদা একাদশীর উপবাসঃ বাংলা ১৮ই চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ১লা এপ্রিল, ২০২৩) শনিবার।
- কামদা একাদশীর পারণের সময়ঃ বাংলা ১৯শে চৈত্র, ১৪২৯, (ইংরেজি ২রা এপ্রিল, ২০২৩) রবিবার সকাল ১১টা ১৬ মিনিটের (11:16 AM) পর।